কোচবিহার, ১০ সেপ্টেম্বর : উকিল বর্মন ও কৃষ্ণকান্ত বর্মনের পরে এবারে নছির মিঞা (Farmer Abducted)। বাংলাদেশী। দুষ্কৃতীদের হাতে আটক ভারতীয় কৃষক। বুধবার এমনই অভিযোগ উঠেছে ফের শীতলকুচি সীমান্তে। অভিযোগ শীতলকুচির শালবাড়ি সীমান্তে নছির মিঞা নামে এক ভারতীয়কে আটক করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে এদিন নছির মিঞা কাঁটাতারের ওপারে নিজের জমিতে কৃষিকাজ করতে গেলে দেখেন তার ফসল নষ্ট হয়েছে। অভিযোগ বাংলাদেশীদের গবাদি পশু জমির ফসল নষ্ট করেছে গত কয়েকদিন থেকে ।এরপর নছির মিঞা ওই গবাদি পশুর পিছু নিয়ে জমি লাগোয়া এক বাংলাদেশীর বাড়িতে ঢুকে গেলে বাংলাদেশীরা তাকে আটক করেছে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে ওই বাংলাদেশীরা এরপরে বিজিবির হাতে তুলে দেয় নছির মিঞাকে । সীমান্তে পাহাড়ায় থাকা বিএসএফ তাকে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে তবে এখনও তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য এর আগে শীতলকুচি সীমান্তে উকিল বর্মনকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার কৃষ্ণকান্ত বর্মন নামে শীতলকুচির আরও এক কৃষককে জমি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে। উকিল বর্মন একমাস পরে আইনী জটিলতা মিটিয়ে বাংলাদেশ থেকে বাড়ি ফেরেন ও কৃষ্ণকান্ত বর্মন সোমবার রাতেই বাড়ি ফেরেন। এদিকে ফের আরও এক কৃষককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নছির মিঞাকে ফেরত আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। বিএসএফের ১৫৭ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত নছির মিঞাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এই ঘটনার সমাধানের চেষ্টা চলছে। এর আগে শীতলকুচি সীমান্তে উকিল বর্মনকে গত এপ্রিলে অপহরণ করা হয়েছিল।
তিনি এক মাস পর আইনী জটিলতা মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন। এছাড়া, সোমবার কৃষ্ণকান্ত বর্মন নামে আরেক কৃষককে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, যিনি সেদিন রাতেই ফিরে আসেন। এই ঘটনাগুলো স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের কাছে জমিতে কাজ করতে গিয়ে কৃষকরা প্রায়ই বাংলাদেশী গবাদি পশুর কারণে ফসলের ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা প্রতিবাদ করতে গেলে এমন ঘটনার শিকার হচ্ছেন। শীতলকুচি থানার পুলিশ এবং বিএসএফ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিএসএফের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে, যা সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। একজন স্থানীয় কৃষক বলেন, “আমরা আমাদের জমিতে কাজ করতে গিয়ে ভয়ে থাকি।
Gen Z-এর পছন্দে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন সুশীলা কারকি?
বাংলাদেশীদের গবাদি পশু আমাদের ফসল নষ্ট করছে, আর প্রতিবাদ করলে আমাদেরই আটক করা হচ্ছে।” বিশেষ করে শীতলকুচির মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নছির মিঞাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে শীতলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, এবং তদন্ত চলছে।