আচমকা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা, কেন?

লোকসভা ভোট মিটতে আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএ) ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (বিএসএ) ২০২৩ এবং ভারতীয় নাগরিক…

TMC Claims Chenab Rail Bridge was the Brainchild of Mamata Banerjee

লোকসভা ভোট মিটতে আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএ) ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (বিএসএ) ২০২৩ এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) ২০২৩ বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

Image

   

চিঠিতে মমতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন অন্তত বাস্তবায়নের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে। জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএ) ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (বিএসএ) ২০২৩ এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) আইনের।

Image

Advertisements

কিন্তু তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নতুন তিন আইন কার্যকরের সময় পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই স্থগিতাদেশের ফলে ফৌজদারি আইনগুলির সংসদীয় পর্যালোচনা নতুন করে শুরু হবে।

নতুন আইনগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় শক্তি আইন। ঔপনিবেশিক আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করবে এই আইন। নতুন আইনগুলির লক্ষ্য দেশের নাগরিকদের দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান এবং বিচার ও আদালত পরিচালন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লোকসভায় এমন সময়ে তিনটি বিল পাস হয়েছিল যখন ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আপনার বিদায়ী সরকার এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল একতরফাভাবে পাস করেছে এবং এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সেদিন প্রায় ১০০ জন লোকসভা সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল এবং উভয় কক্ষ থেকে মোট ১৪৬ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গণতন্ত্রের সেই অন্ধকার সময়ে স্বৈরাচারী কায়দায় বিল পাস করা হয়েছে। বিষয়টি এখন পর্যালোচনার দাবি রাখে। তাই আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি যে, অন্তত নতুন আইন রূপায়ণের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করুন। ‘