কেন খুন করা হল বাংলাদেশের সাংসদকে? আদালতে কী জবাব ধৃত কসাইয়ের?

বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় জিহাদ হাওলাদারকে। সে পেশায় কসাই। শুক্রবার সকালে ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ…

Bangladesh MP death Anwarul Azim arrest butcher Jihad Howladar barasat court updates

বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় জিহাদ হাওলাদারকে। সে পেশায় কসাই। শুক্রবার সকালে ধৃতকে বারাসত আদালতে পেশ করে সিআইডি। জিহাদকে হাজির আদালতে হাজির করা মাত্রই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। প্রশ্ন উড়ে আসে , ‘কেন মারলে?’

কসাই জিহাদ হাওলাদারের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। পুলিশের গাড়ি নামিয়ে জিহাদকে আদালত ভবনে নিয়ে চলে যায় সিআইডি গোয়েন্দারা।

   

প্রশ্নের অবশ্য কোনও জবাব দেয়নি অভিযুক্ত কসাই জিহাদ হাওলাদার।

সিআইডি গোয়েন্দারা বাংলাদেশের নিহত সাংসদের দেহাংশ এখনও খুঁজে পাননি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর জিহাদকে ভাঙড়ের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, আজিমকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছিল। তবে তা মেলেনি। তাই দেহ কোথায় ফেলা হল, কেন সাংসদকে মারা হল সেই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে শুক্রবার ধৃতকে হেফাজতে চায় সিআইডি। আদালত ধৃতের ১২ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছে।

‘ভোটের দিন তৃণমূল সমর্থকরা যেন বাড়ি থেকে না বেরোয়’, বিস্ফোরক ভিডিয়ো পোস্ট কুণালের

সিআইডি সূত্রে খবর, হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। শিলাস্তি রহমান নামের এক মহিলাকে সামনে রেখে তাঁকে ফাঁদে ফেলা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের এক আবাসনে। তারপর সেখানে তাঁকে খুন করা হয়। ধৃত জিহাদের বিরুদ্ধে খুনের জন্য অপহরণ, তথ্য নষ্ট করা, ভুল তথ্য দেওয়া, খুন এবং অপরাধের চক্রান্ত করার ধারা যোগ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিআইডির একটি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকায় গিয়েছে। ধৃতদের সেখানেও জেরা করা হবে। সিআইডি জানতে পেরেছে, খুনের অন্তত দু’মাস আগে মুম্বই থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল কসাই জিহাদকে। তিনি জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, প্রথমে আজিমকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়। তার পর দেহ কাটা হয় টুকরো টুকরো করে। হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে তাতে হলুদ মাখান অভিযুক্তেরা। যাতে বাইরে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলা যায়, রান্না করার জন্য মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।