সীমান্তে তুর্কি ড্রোন মোতায়েন বাংলাদেশের! কড়া নজর রাখছে ভারত

কলকাতা: গত অগাস্ট মাসে প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা৷ এর পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ৷ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী…

"Indian Soldiers Deployed at Indo-Bangladesh Border to Control Situation

কলকাতা: গত অগাস্ট মাসে প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা৷ এর পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ৷ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ বেড়েছে হিন্দুদের উপর অত্যাচার৷ সীমান্তে বেড়েছে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম৷ এরই মধ্যে ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে খবর মিলেছে, পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের কাছে তুরস্ক নির্মিত ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ৷ এই অবস্থায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তীব্র নজরদারি শুরু হয়েছে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফেও এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে৷ যদিও বাংলাদেশের দাবি, প্রতিরক্ষার জন্যই এই ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে৷ 

ড্রোন নিয়ে বাংলাদেশের দাবি  Bangladesh deploys Turkish drones

সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের কাছে Bayraktar TB2 UAV মোতায়েনের রিপোর্টটি যাচাই করে দেখেছে। বাংলাদেশের ৬৭তম সেনাবাহিনী এই ড্রোনগুলি  নজরদারি এবং অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের দাবি, এই ড্রোনগুলি শুধুমাত্রই প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, একটি সংবেদনশীল সীমান্ত অঞ্চলে এত উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন মোতায়েনের কৌশলগত গুরুত্ব ভারতের পক্ষে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়৷ 

   

বাংলাদেশের উপর কড়া নজর Bangladesh deploys Turkish drones

ভারতের বর্ষীয়ান এক সেনাকর্তা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হাসিনা জমানায় যে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছিল, ইউসূস সরকারের আমলে তারাই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে৷ ভারতীয় সীমান্তের কাছে তারা শক্তিবৃদ্ধি করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই সকল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এবং চোরাচালান নেটওয়ার্কগুলি বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই এল ড্রোন মোতায়েনের খবর৷

 

কতটা শক্তিশালী Bayraktar TB2?

এটি একটি অ্যানম্যানড কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকল (UCAV)।  অর্থাৎ প্রয়োজনে  এটি যুদ্ধেও নামতে পারে। তুরস্কের বেকার কোম্পানিতে তৈরি এই ড্রোন প্রথম উড়েছিল ২০১৪ সালে৷ বর্তমানে বিশ্বের বহু দেশের হাতে এই ড্রোন রয়েছে৷ এর ডানা ৩৯.৪ ফুট দীর্ঘ, ওজন ৭০০ কেজি। এটি ১৫০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম৷ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিমি বেগে উড়তে পারলেও, এর স্বাভাবিক গতি ১৩০ কিমি/ঘণ্টা। রেঞ্জ প্রায় ৪ হাজার কিমি। অর্থাৎ এতখানি দূরত্বের মধ্যে দক্ষভাবে আক্রমণ হানতে বা গুপ্তচরবৃত্তি করতে সক্ষম৷ এর ড্রোনের মধ্যে MAM গাইডেড বোমাও বসানো যাবে৷  

 

Bayraktar TB2 ড্রোনগুলি চলতি বছরের শুরুতে হাতে পায় বাংলাদেশ৷ সে দেশের ডিফেন্স টেকনোলজি (ডিটিবি) সূত্রে খবর, অর্ডার করা ১২টি ড্রোনের মধ্যে ৬টি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ 

 

West Bengal: Amidst intense unrest, Sheikh Hasina resigns and flees Bangladesh. Under interim leader Muhammad Yunus, the situation remains volatile with increased attacks on Hindus and drone deployment near the India border. Heightened surveillance is ongoing.