সংখ্যালঘু প্রধান জেলা মুর্শিদাবাদে হুঙ্কার সংখ্যালঘু বিধায়কের। হিন্দুদের কেটে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। শাসকদলের এই নেতার বিরুদ্ধে সরব বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)।
গত বুধবার মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর বাজারে সভা করেন হুমায়ুন কবীর। তৃণমূলের সেই সভা থেকে হুংকার দেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীর জলে না ফেলতে পারি, রাজনীতি থেকে সরে যাব। মনে রেখো মুর্শিদাবাদে তোমরা ৩০ শতাংশ, আমরা ৭০ শতাংশ।”
হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যর ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। Kolkata24x7 ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। যদিও একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
সম্প্রতি এই শক্তিপুরের একাধিকবাক গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছে। চড়ক উৎসব ঘিরে গত মাসের মাঝামাঝি গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়ায় শক্তিপুর। এরপর রামনবমীতেও উত্তেজনা ছড়ায়। একজনের প্রাণও গিয়েছে বলে অভিযোগ।
এবার সেই শক্তিপুরেই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য খোদ বিধায়কের গলায়। এ নিয়ে সরব বাংলাপক্ষ। সংগঠনের নেতা কৌশিক মাইতি বলেছেন, “মুর্শিদাবাদে হুমায়ন কবীরের মতো তৃণমূল নেতা প্রকাশ্যে হিন্দু বাঙালিদের বিরুদ্ধে কথা বলে। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “বাংলায় এসব ধর্ম বিদ্বেষ চলবে না।”
একসময় কংগ্রেসে ছিলেন হুমায়ুন কবীর। তারপর তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন। ২০১৬ সালে রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন। জিততে পারেননি। তারপর ফের কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন হুমায়ুন কবীর। ফের পরাস্ত হন। একুশের ভোটের আগে পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেন হুমায়ুন কবীর। তারপর তৃণমূলের টিকিটে ভরতপুরের বিধায়ক।