আবাসের বাড়ি না পেয়ে সরাসরি ফোন মুখ্যমন্ত্রীকে!

দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অনুরোধের পরেও প্রশাসন (Awas) থেকে সাড়া না পেয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন পাঁশকুড়ার হাউর গ্রাম (Awas) পঞ্চায়েতের বিজেপি…

Awas: Applicant Calls Chief Minister Directly, Secures Residence

দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অনুরোধের পরেও প্রশাসন (Awas) থেকে সাড়া না পেয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন পাঁশকুড়ার হাউর গ্রাম (Awas) পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি আবেদন করেই অবশেষে আবাস যোজনার (Awas) বাড়ি পেয়েছেন তাঁরা।

বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, প্রশাসন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক কারণেই তাঁদের বঞ্চিত করেছেন। পাঁশকুড়া ব্লকের হাউর গ্রাম (Awas) পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ছন্দা জানা মণ্ডলের ভাসুর উত্তম মণ্ডল বলেন,

   

“এর আগেও আবাস যোজনার (Awas) তালিকায় নাম উঠলেও বিজেপি করার কারণে বারবার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতে হয়েছে। আমাদের মতো বিজেপি কর্মীরা চিরকাল এই বঞ্চনার শিকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী সবার মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর কাছে বাড়ি চাইতে কোনও অসুবিধা হয়নি।”

পাঁশকুড়া ব্লকের ২৫৬৭ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। উত্তম মণ্ডলের মতো বিজেপি কর্মীরাও এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। উত্তম মণ্ডল আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবার জন্য কাজ করেন। আমাদের বাড়ি পাওয়া তারই প্রমাণ।”

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিৎ রায়ের অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি ফোন করছেন এবং এভাবে আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন। তিনি বলেন,

“যাঁদের ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের এই পদ্ধতির কথা জানাননি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বাড়ি পাওয়া যায়, এটা জনসাধারণের জানার অধিকার ছিল।”

এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সবার জন্য সমানভাবে কাজ করেন। রাজনৈতিক পরিচয় দেখে বঞ্চনা করা উচিত নয়। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই সুযোগ নিচ্ছেন এবং তৃণমূল সরকারের উদারতাকে কাজে লাগাচ্ছেন।

বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, এই ধাপে ১২ জনের বেশি বিজেপি কর্মী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চায়েতের সদস্য ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

এই ঘটনা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক স্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে সমস্যার সমাধান পাওয়া মানুষের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ালেও, এটি স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াবে। একই সঙ্গে, বিরোধীদের এই ধরনের পদক্ষেপ কৌশলগতভাবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার দিকেও ইঙ্গিত করে।

এই ঘটনার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন “সবার জন্য সমান সুযোগ”-এর বার্তা দিলেও, রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।