সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজকর্ম নিয়ে একাধিক (civic volunteer) বিতর্ক এবং অভিযোগ সামনে এসেছে। রানিগঞ্জে এক সিভিক ভলান্টিয়ার(civic volunteer) ট্রাকচালককে মারধরের চেষ্টার অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এলাকায় এক স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় সিভিক(civic volunteer) ভলান্টিয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং জলপাইগুড়িতে একটি সিভিক ভলান্টিয়ার ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় বরখাস্ত হয়েছেন। এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মানসিক সুস্থতা এবং তাদের কাজের প্রতি আচরণের উপর গুরুত্ব দিয়ে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন একটি আলোচনাচক্র আয়োজন করেছে।(civic volunteer)
এদিন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজনে (civic volunteer) ১৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার অংশ নেন। আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ট্র্যাফিক) ভিজি সতীশ পশুমারথি, রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক(civic volunteer) সোমাত্মানন্দ মহারাজ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা। আলোচনার মূল বিষয় ছিল সিভিক ভলান্টিয়ারদের মানসিক চাপ, তাঁদের কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং সেবামূলক আচরণ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ(civic volunteer)
সিভিক ভলান্টিয়ারদের মানসিক সুস্থতা(civic volunteer)
পুলিশ কমিশনারের মতে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ অত্যন্ত কঠিন এবং চাপপূর্ণ। বিশেষ করে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাঁরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন, যা শারীরিক ও মানসিকভাবে (civic volunteer) খুবই দুরূহ। কখনও কখনও সিভিকদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ বা দুর্ব্যবহারের অভিযোগও আসে। এসব পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাঁদের মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত(civic volunteer) গুরুত্বপূর্ণ।
এখন, যদি সিভিক ভলান্টিয়াররা তাদের কাজের প্রতি মনোযোগী না থাকেন বা অতিরিক্ত চাপের কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা শুধুমাত্র তাঁদের কর্মস্থলের পরিবেশকেই প্রভাবিত করবে না, বরং সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁদের আচরণও খারাপ হতে পারে। তাই তাঁদের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।(civic volunteer)
রামকৃষ্ণ মিশনের পরামর্শ(civic volunteer)
আলোচনাচক্রে রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক সোমাত্মানন্দ মহারাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “কোনও সিদ্ধান্ত একা না–নিয়ে, উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে নিজেরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সমস্যার কথা জানাতে পারেন।” মহারাজ আরও যোগ করেন, “কাজ শুরুর আগে সকলে মিলে একসঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করুন। রেগে যাবেন না। রাগ করলে নিজেরই ক্ষতি হয়।”(civic volunteer)
মহারাজের এই পরামর্শে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে আরও একত্রিত হওয়া এবং মনোভাবের পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ এসেছে। তাঁদের কাজের প্রতি আরও দায়িত্বশীলতা এবং সহানুভূতির সাথে দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একযোগভাবে কাজ করলে তাদের মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়বে, যা কর্ম পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে(civic volunteer)
সিভিক ভলান্টিয়ারদের সন্তানদের জন্য শিক্ষার সুযোগ
এছাড়া, সোমাত্মানন্দ মহারাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “প্রতি বছর মিশনের আইটিআই-তে ৭০ জন পড়ুয়া বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পায়। সে ক্ষেত্রে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার যদি চান, তাঁর সন্তাকে এখানে পড়াতে, তা হলে সেই সুযোগ আমরা করে দিতে পারি।”
এটি সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য একটি বড় উপহার, কারণ তাঁদের কাজের চাপ এবং সময়ের অভাবে অনেক সময় নিজেদের সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। রামকৃষ্ণ মিশনের এই উদ্যোগ তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচন করতে সাহায্য করবে।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রতি সামাজিক দায়িত্ব
সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা নয়, বরং তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ, মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্য প্রদান—এই সব কাজের মাধ্যমে আমাদের সমাজের মঙ্গলেই কাজ করেন। তবে তাঁদের জন্য মানসিক সমর্থন এবং সঠিক দিকনির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি।
তাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণ সবসময় যেন সুন্দর থাকে, সে জন্য এই ধরনের আলোচনাচক্রের আয়োজন এক বড় পদক্ষেপ। সিভিক ভলান্টিয়াররা যদি নিজেদের কাজের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠেন এবং তাদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তবে সমাজের প্রতি তাঁদের সেবামূলক ভূমিকা আরও দৃঢ় হবে।