উত্তাল জলচ্ছ্বাস দেখতে সমুদ্রের পাড়ে ভিড় পর্যটকদের, পরিস্থিতি সামলাতে দিশেহারা প্রশাসন

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়, নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব রাখে। বর্তমানে, ‘দানা’ (cyclone dana)নামক একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা অঞ্চলে পর্যটকদের জন্য জরুরি(cyclone dana) নির্দেশনা…

short-samachar

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়, নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব রাখে। বর্তমানে, ‘দানা’ (cyclone dana)নামক একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা অঞ্চলে পর্যটকদের জন্য জরুরি(cyclone dana) নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে,বুধবার দুপুর ১২ টার মধ্যে সকল পর্যটককে হোটেল ছাড়তে হবে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে।

   

হোটেল থেকে বের হওয়ার নির্দেশ
দিঘা, যা তার সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং মনোরম পরিবেশের জন্য পরিচিত, সেখানে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আগমন প্রত্যাশিত। সুতরাং, প্রশাসন সমুদ্র ও তার আশেপাশের এলাকা ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও অনেক পর্যটক এই নির্দেশনা মেনে চলে এবং স্থান ত্যাগ করতে শুরু করেছে, তবুও কিছু পর্যটক এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করতে থাকে।

পুলিশের সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো পর্যটকদের সতর্ক করে হোটেলে ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। অনেকেই তখন তা মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু কিছু পর্যটক পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারও বাইরে চলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ পুনরায় ফিরে এসে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। আটক হওয়া পর্যটকরা দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে হোটেল থেকে বের না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের উদ্যোগ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ, সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, জানান, ডিঘা এবং মন্দারমণির পর্যটকদের নিরাপদে আনার জন্য তৎপর প্রশাসন৷ তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি যেন তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এই নির্দেশনাগুলি মেনে চলে।”

কিছু পর্যটক নিরাপত্তার কথা না ভেবে সৈকতে
বুধবার দুপুরে, কিছু পর্যটককে সৈকত রাস্তার পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, যা নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনার সরাসরি লঙ্ঘন। পুলিশ যখন আবার সেখানে আসে, তখন তারা পর্যটকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। এদিকে, কিছু পর্যটক বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু অন্যরা ঠিকই অবাধে ঘোরাফেরা করছে।

সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার গুরুত্ব
এমন পরিস্থিতিতে, আমাদের সকলের উচিত সরকারী নির্দেশনা মেনে চলা এবং নিজেদের এবং অপরের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করা। ঘূর্ণিঝড়ের সময়, সমুদ্রের নিকটে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে, সুতরাং আমাদেরও তাদের সহযোগিতা করা উচিত।

সমুদ্রের নিকটবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়া
যে সমস্ত পর্যটক এখনও ডিঘায় রয়েছেন, তাদের জন্য প্রশাসন পরামর্শ দিয়েছে যে তারা হোটেল থেকে বের না হন এবং ঝড়টি চলে যাওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে অবস্থান করেন। সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা প্রবল বাতাস এবং জলোচ্ছ্বাসের শিকার হতে পারে, যা প্রাণের জন্য বিপজ্জনক।

স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা
স্থানীয় অধিবাসীরা এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। তারা পর্যটকদের নিরাপদে হোটেলে ফিরে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন এবং প্রয়োজন হলে সাহায্য করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, যারা পর্যটকদের সাথে যুক্ত, তাদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বিগ্ন।