অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (arpita Mukherjee) জামিন (Bail) মঞ্জুরের পর নানা প্রশ্ন উঠছে। সোমবার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর মঙ্গলবার বেলঘরিয়ায় ফেরেন তিনি। তবে মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেলঘরিয়াতেই থাকতে হবে তাকে। তারপর আদালতের (court) নির্দেশ (orders) মেনে কলকাতায় (Kolkata) ফিরতে (return) হবে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং বাড়িতে ছিলেন। এখন জামিন পেয়ে তার মুক্তির আরও একটি দিক প্রকাশ পেয়েছে।
অর্পিতার জামিনের জন্য তিনি একাধিকবার আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তার আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। বিশেষত, তার মায়ের অসুস্থতার কারণে একাধিকবার জামিনের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি তিনি। তবে মায়ের মৃত্যু হওয়ার পর তার প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে উদ্ধৃত করে আবারও তার জামিনের আবেদন করা হয়। এদিন আদালত শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে। আদালতের কিছু শর্ত পূরণ করলে তিনি মুক্তি পাবেন।
শর্তাবলি অনুযায়ী, অর্পিতাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না। তাকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তবে মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেলঘরিয়াতেই থাকতে পারবেন তিনি।
এদিকে, জামিন পাওয়ার পর সবার মনে প্রশ্ন উঠছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুক্তি কি এবার শুধুই সময়ের ব্যাপার? কারণ, অর্পিতার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর এটি পরিষ্কার যে, শর্তসাপেক্ষে জামিন সম্ভব, এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের সম্ভাবনা এবার বেড়ে গেল। পার্থও যদি জামিনের জন্য আবেদন করেন, তবে আদালত তাকে জামিন দিতে পারেন, তবে তার শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
অর্পিতার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম এসেছে, এবং সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। এখন সেই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে, এবং অর্পিতা তার তদন্তে সহযোগিতা করতে বাধ্য। তদন্তের মধ্যে শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে, যাতে এই মামলার কোনও দিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুক্তির প্রশ্ন উঠেছে, কারণ জামিনের ক্ষেত্রে আদালতের যে শর্তাবলী রয়েছে, তা পার্থের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে। তবে তার জামিনের আবেদনের বিষয়ে আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অর্পিতার জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এই জামিনের ফলে মামলার তদন্তের গতিপথও পরিবর্তিত হতে পারে। অনেকে মনে করছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুক্তি এই পরিস্থিতিতে এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
এছাড়া, এখন প্রশ্ন উঠছে যে, জামিনের শর্তগুলো কী ধরনের প্রভাব ফেলবে পার্থের মুক্তির ক্ষেত্রে। যদি পার্থও জামিনের জন্য আবেদন করেন, তবে আদালত কি তাকে জামিন দেবেন? এখন দেখতে হবে, এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এবং আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়।