কোটি টাকার ডিল হয়েছে , হেরে গিয়ে সাফাই অর্জুনের

নিউজ ডেস্ক:  ভোটে হারের পর থেকে  অজুহাত কী লেগেই রয়েছে বিজেপি নেতাদের? কমিশনের সেটিং তত্ত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এবার সেই তালিকায়…

Arjun-Singh

নিউজ ডেস্ক:  ভোটে হারের পর থেকে  অজুহাত কী লেগেই রয়েছে বিজেপি নেতাদের? কমিশনের সেটিং তত্ত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ব্যারাকপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। ব্যরাকপুরের পরাজিত বিজেপি সাংসদ বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার ডিল হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের। সেই কারণেই গোটা নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় ছিল কমিশন।

“বাংলায় ভোটে নির্বাচন কমিশনের কোনও ভূমিকাই ছিল না।” এই মন্তব্য সামনে আসতেই ফের চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ভোটে কারসাজির জন্য কমিশনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অর্জুনের দাবি,”ভোটের দিন সমস্ত রকম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় বাহিনী। শাসকদলের চাপে এলাকা ছেড়ে ভয়ে পালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।” যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা”,পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষের।

   

এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫ম দফাতে ভোট হয় ব্যরাকপুর কেন্দ্রে। রাজ্যের স্পর্শকাতর একটি বুথগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। অশান্তির আঁচ পেয়েই এই কেন্দ্রের বুথগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু চিরাচরিত ঐতিহ্য বজায় রেখে ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসা হয় ব্যরাকপুর কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে। এমনকি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে অর্জুনকে। প্রায় হাতাহাতি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তাঁকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

এবার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের কাছে বিপুল ভোটে হেরে সেই নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘাড়েই যেন দোষ চাপালেন ব্যরাকপুরের প্রাক্তণ সাংসদ। প্রায় ৫,২০,২৩১ ভোটে এবার জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক। উল্টোদিকে ৪,৫৫, ৭৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির অর্জুন সিং। অঙ্কের হিসেবে প্রায় ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। আর এই হারকেই হয়ত মেনে নিতে পারছেন না ব্যরাকপুরের স্বঘোষিত ‘জায়গীরদার’ অর্জুন সিং।

ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে ৪ জুন। আর প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেলে এখন কেন সাফাই গাইছেন পরাজিত বিজেপি নেতারা? তবে কী কেন্দ্রীয়স্তরের নির্দেশেই লাইন দিয়ে এই পথে হাঁটছেন তাঁরা? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যরাকপুরের বিজেপির টিকিটে জয়ী হন তিনি। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল ব্যপক জয়লাভ করলে দল বদলে ফিরে আসেন পুরনো বাড়িতেই। আশা করেছিলেন বিধানসভায় জেতা আসনে হয়তো তাঁকেই প্রার্থী করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ভাগ্য আর শিকে ছেঁড়েনি। বরং স্থানীয় তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিককেই বেছে নেয় দল। শোনা যায় অর্জুনের কার্যকলাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় প্রচার করেছিলেন তৃণমূলের ওই দাপুটে নেতা। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অর্জুনের জনপ্রিয়তা ব্যপক হ্রাস পেয়েছিল। এবার লোকসভা ভোটে ব্যালট বাক্সে তারই প্রতিফলন ঘটে।