পুলিশ হেফাজতে আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বারুইপুর আদালতের। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের কাশীপুর থেকে। শুক্রবার ফের উত্তপ্ত ভাঙড়।
প্রাক্তন বিধায়ক। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম পুলিশ হেফাজতে। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের কাশীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, খুন-সহ বিভিন্ন ধারায় রুজু হয় মামলা।
ঘটনার সূত্রপাত, গত বছরের ১৫ জুন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ভাঙড় ২ ব্লক অফিসের কাছে বড় গোলমাল হয়। তৃণমূল-আইএসএফের মধ্যে শুরু হয় গুলি-বোমার লড়াই। বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ- তৃণমূল সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দুজন তৃণমূল কর্মী। একজন আইএসএফ কর্মী। মহিউদ্দিন মোল্লা। মহিউদ্দিনের বাবা কুতবুদ্দিন তখন কাশীপুর থানায় আরাবুল-সহ ভাঙড়ের বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই গ্রেফতার করা হয় আরাবুল ইসলামকে।
শুক্রবার আরাবুলকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। শুনানিতে আরাবুলের আইনজীবী বলেন, ‘২০২৩ সালের জুন মাসের মামলা। পুলিশ চাইলে আগে গ্রেফতার করতে পারত। কেন ওই সময় পুলিশ গ্রেফতার করল না? ঘটনার দিন আরাবুল বিডিও অফিসে বসে ছিলেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে দেখতে পারেন। পুলিশ হেফাজতের গ্রাউন্ড কী? যে গ্রাউন্ডে পিসি চাওয়া হয়েছে সেগুলো পুলিশের নাটক ছাড়া কিছু নয়। আপনি কী মনে করেন ওঁর মতো পরিচিত মুখ পাবলিক জড়ো করে এমন ঘটনা ঘটাবেন?’
পালটা সওয়ালে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওঁর কী যোগসূত্র তদন্তে উঠে এসেছে। ওঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা কেস ডায়েরিতে রয়েছে।’ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে বারুইপুর আদালত।
অন্যদিকে শুক্রবার ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ। এ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও আইএসএফ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।