বোলপুর: বীরভূমে ফের অনুব্রতর গর্জন৷ বিধানসভা ভোটের দিন ঘনিয়ে আসতেই রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে৷ সেই প্রেক্ষিতেই ফের আসরে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। দলবদলের হাওয়া নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সতর্ক করে অনুব্রতের স্পষ্ট বার্তা, “হুজুগে কান দেবেন না, নিজের পায়ে কুড়ুল মারবেন না। সাময়িক ভাল লাগবে কিন্তু পরে নেমে আসবে ভয়ঙ্কর অন্ধকার। আর সেই অন্ধকার গপ করে গিলে নেবে।”
কর্মীদের মনোবল জোরদার করতেই নিদান
সোমবার বিকেলে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানে অনুব্রতের গলায় ফের শোনা গেল তাঁর পরিচিত দৃঢ়তার সুর। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে দলবদলের টোপ থেকে বাঁচাতে কর্মীদের মনোবল জোরদার করতেই এই নিদান।
সভায় অনুব্রত বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের জন্য এসেছি। খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বেকার ছেলে-মেয়েদের জন্য কাজ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও হড় ঘরের মেয়ে নন, তিনি বীরভূমেরই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাই ৯৪টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। আপনাদের মাথায় যত চুল নেই, তার চেয়েও বেশি প্রকল্প উনি করেছেন।”
কর্মীদের ‘টিপস’ Anubrata Mondal Defection Warning
২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও দলীয় কর্মীদের নিজস্ব ‘টিপস’ দেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, “২৬-এর ভোট কঠিন, কিন্তু ভয়ের নয়। সকলে মিলে কাজ করলে জয় নিশ্চিত। লোকসভায় আমরা ৪৭০০ ভোটে লিড পেয়েছিলাম, এবার সেটিকে ১৫ হাজারে নিয়ে যেতে হবে।” কালীপুজোর পর থেকেই প্রতিটি বুথে সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।
ভয় পাবেন না
SIR নিয়ে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে অনুব্রত বলেন, “ভয় পাবেন না। আমাদের ভোটার লিস্টের নম্বর কেটে দিতে পারবে না। আমরা অন্যায় করি না, রুখে দাঁড়াব একসঙ্গে।”
এই বিজয়া সম্মিলনীতে অনুব্রতের পাশে দেখা যায় বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ-সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।
সভা শেষে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মন্তব্য, “ফের আগের মতো অনুব্রত মণ্ডলকে ফিরে পেয়ে উজ্জীবিত বীরভূম।”