রাজ্যে ফের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি, উঠে এল তৃণমূল নেতার নাম

রাজ্যে ফের চিটফান্ড (Chit fund) কেলেঙ্কারি। এবার ‘শেয়ার বাজার’ নামে একটি সংস্থা কোটি কোটি টাকা তছরূপ করে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার…

Another Chit Fund Scam in the State, TMC Leader's Name Surfaces

রাজ্যে ফের চিটফান্ড (Chit fund) কেলেঙ্কারি। এবার ‘শেয়ার বাজার’ নামে একটি সংস্থা কোটি কোটি টাকা তছরূপ করে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীনারায়ণপুরে। আমানতকারীদের অভিযোগ, সংস্থার কর্ণধার শুভ্রকান্তি নাগ তাদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভ্রকান্তি নাগ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, কীভাবে এবং কবে টাকা ফেরানো হবে, সে বিষয়ে আমানতকারীদের ও ব্রোকারদের জানানো হয়েছে।

কালীনারায়ণপুরের ওই সংস্থা ‘শেয়ার বাজার’ নামে পরিচিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কাছে মোটা মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা জমা করছিল। প্রায় কয়েক বছর ধরে তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের নাম করে টাকা তুলে আসছিল। তাদের দাবি ছিল যে, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলে প্রচুর লাভ হবে এবং টাকা যে কোনও সময় ফেরত নেওয়া যাবে। পাশাপাশি, তারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের কৌশল শেখানোর ব্যবস্থা করেছিল।

   

এতদিন পরে, এক বিনিয়োগকারী বিদ্যুৎ চৌধুরী ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সে অভিযোগ দায়ের করেন যে, শেয়ার বাজার নিয়ামক সংস্থা সেবি (SEBI) থেকে কোনো অনুমতি ছাড়াই ওই সংস্থা মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছিল। তার দাবি, ওই সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, টাকা যে কোনও সময় তুলে নেওয়া যাবে কিন্তু এখন সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ, শুভ্রকান্তি নাগ টাকা ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে পালিয়ে গেছেন। তারা আরও দাবি করছেন, শুভ্রকান্তি নাগ এবং তার সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার একাধিক নেতাকে শুভ্রকান্তির অফিসে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি আমানতকারীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করছেন, কোনো রাজনৈতিক চাপের কারণে এই ঘটনার কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাওয়া যাবে না।

সংস্থাটি পরিচালনা করার সময় শুভ্রকান্তি নাগ তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। তারা জানাচ্ছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা ফেরত না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। সংস্থার অভিযোগ অস্বীকার করে শুভ্রকান্তি নাগ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিছু মানুষ তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, কবে, কীভাবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে সে বিষয়ে সাব ব্রোকাররা জানেন। এই বক্তব্যের পরেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থামছে না। স্থানীয় জনগণ এবং আমানতকারীরা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত।

এই ঘটনার পরের দিনগুলোতে পুঁজি হারানো আমানতকারীরা কি তাঁদের টাকা ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অঙ্গনে কী ধরনের ফলাফল আসবে? উঠেছে প্রশ্ন।