দু’দিনের সফরে আবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সফরে কলকাতায় আসছেন না তিনি, তবে বৃহস্পতিবার রাতেই শিলিগুড়িতে নামবেন। তার সফরের মূল কেন্দ্র উত্তরবঙ্গ, যেখানে তিনি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। শুক্রবার বিকেলেই তিনি দিল্লির উদ্দেশে ফিরে যাবেন। উল্লেখযোগ্য যে, অমিত শাহের এই সফরে বিজেপির কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত নেই। এই সফরটি মূলত সশস্ত্র সীমা বল (SSB) (এসএসবি)-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে, যা ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে এবং নেপাল ও ভুটানের সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য কাজ করে।
ভবিষ্যৎ যুদ্ধের প্রস্তুতি! এবার মহাকাশে টহল দেবে ভারতীয় সেনা
লোকসভা নির্বাচনের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। প্রথম সফরে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন, তবে এবারের সফরটি বিশেষত সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। শাহ মূলত এসএসবি-র প্যারেড এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ভূমিকা এবং কর্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্যারেড এবং বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন।
শুক্রবার এসএসবি-র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে অংশ নেবেন অমিত শাহ। এসএসবি, যা ভারতের সীমান্ত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কার্যরত, সে বাহিনীর কর্মীরা প্রতিবছর নিজেদের দায়িত্ব পালন ও সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা প্রদর্শন করতে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এবার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিলিগুড়ি পৌঁছাবেন অমিত শাহ। তার সফরের সূচি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন এবং সেখানে রাত কাটাবেন। পরবর্তী দিন, শুক্রবার, তিনি এসএসবি-র সদর দফতরে থেকে সকালেই প্যারেড গ্রাউন্ডে যাবেন।
রাহুলের ধাক্কায় জখম বিজেপি সাংসদ, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ বিজেপি
এসএসবি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের মূল্যায়ন করে এবং সেই সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি সশস্ত্র সীমা বলের কর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের উৎসর্গ এবং দেশের সীমান্ত রক্ষায় তাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সুযোগ।
অমিত শাহের সফর শুধুমাত্র একটি প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ, তবে এই সফরের মাধ্যমে রাজ্য রাজনীতিতেও কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মতপার্থক্য নতুন কিছু নয়। রাজ্য সরকার এবং বিজেপির মধ্যে ক্রমাগত রাজনৈতিক চাপানউতোরের কারণে, অমিত শাহের এই সফরের প্রতি রাজনৈতিক মহলে বিশেষ নজর রয়েছে।
ডিভিসির সঙ্গে রাজ্যের লড়াই, শীতের মরশুমে রবি চাষে জল না পেয়ে ক্ষতির মুখে পঁচিশ লক্ষ কৃষক
এছাড়া, অমিত শাহের সফরের সময় বিজেপির কোনো বড় অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও, রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি এবং পদক্ষেপগুলোর প্রতি রাজ্যের জনগণের মনোভাব নির্ধারিত হতে পারে। তবে, এই সফরটি মূলত নিরাপত্তা ও সীমান্ত রক্ষার বিষয়েই গুরুত্ব পাচ্ছে, যা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের জন্যও আকর্ষণীয় হতে পারে।