এসআইআর (SIR) ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। নির্বাচন কমিশনের (New Website of EC) সাম্প্রতিক পদক্ষেপে নতুন করে আগুন জ্বলেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। শুরু থেকেই কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ উঠছে, নির্বাচন কমিশনের একাধিক সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার ও ভোটারদের স্বার্থের পরিপন্থী। তৃণমূলের বক্তব্য, “একজন বৈধ ভোটারও যদি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে বড়সড় আন্দোলন শুরু হবে।” এই হুঁশিয়ারির মধ্যেই যখন রাজনৈতিক তাপমাত্রা চরমে, তখনই দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে একযোগে বাংলাতেও এসআইআর ঘোষণা হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই, এর প্রভাব পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।
এরইমধ্যে আরও একটি ইস্যু সামনে এসেছে—২০০২ সালের ভোটার তালিকা। এই তালিকায় কারচুরির অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তবে সূত্রের খবর, ওই বছরের ভোটার তালিকার সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার তালিকার মিলিয়ে দেখা বা “ম্যাপিং” করার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। কমিশনের দাবি, এটি সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে করা হয়েছে, যাতে ভোটারদের তথ্য আরও নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
এসব বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, বাংলার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ ভোটাররা সহজেই তাঁদের ভোটার তালিকার তথ্য, নাম যাচাই, অভিযোগ দাখিল ও বিভিন্ন নির্বাচনী আপডেট জানতে পারবেন।
নতুন এই ওয়েবসাইটের লক্ষ্য, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্যপ্রাপ্তি সহজ করা। কমিশনের এক আধিকারিক জানান, “নাগরিকদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর ও অভিযোগের সমাধান করাই আমাদের লক্ষ্য। এই ওয়েবসাইট সেই দিকেই এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” এখন থেকে ceowestbengal.wb.gov.in -এ গেলেই দেখা যাবে যাবতীয় তথ্য।



