ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর ১১/১ অঞ্চলে টেন্ডার (Tender) ছাড়াই সরকারি গাছ (Trees) বিক্রি (Selling) করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিযোগ করা হচ্ছে যে, তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি (Block President) তথা প্রাক্রন প্রধান বিনোদ দে গাছ কাটার পর সেই বিক্রির টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বসে নিচ্ছেন। অভিযোগের (Allegations) মধ্যে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে বিক্রির টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সচিবের পকেটে চলে যাচ্ছে। একাধিক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, এই ঘটনায় আরও বেশি করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাধামোহনপুর ১১/১ অঞ্চলের অষাড়ি থেকে রাধামোহনপুর পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে সরকারি গাছ (Trees) ছিল। কোনো প্রকার টেন্ডার বা অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, এই গাছ বিক্রির মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এবং এই টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের এক কর্মকর্তা, যিনি সচিব হিসেবে কাজ করছেন, তার পকেটে চলে যাচ্ছে। এই ঘটনাটি ভিডিওর মাধ্যমে সামনে আসার পর, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাস অভিযোগ করেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গাছ (Trees)লাগানোর কথা বলছেন আর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যে গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এটি তাদের প্রকৃত রীতিনীতি।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবে।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের নীরবতা শুধু এই ঘটনাকে আড়াল করতে সাহায্য করছে।
এদিকে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। একদিকে যেখানে বিজেপি এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করছে, তৃণমূলের কোনো নেতা বা নেত্রী এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু বলেননি। অভিযোগের তীর অঞ্চল সভাপতি বিনোদ দে-এর দিকে থাকলেও, তিনি এখন কোনোভাবেই ফোন ধরছেন না এবং একেবারে ‘সুইচ অফ’ অবস্থায় রয়েছেন।
তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকারি গাছের কাটাকাটি করে সরকারের ক্ষতি করা হচ্ছে এবং এই কাজে জড়িত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে মুনাফা আদায় করছে। এমনকি এই গাছ বিক্রি করার পরে প্রাপ্ত টাকা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বসে নেওয়ার দৃশ্যও ভিডিওতে ধরা পড়েছে, যা নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে। বিশেষত বিজেপি, যারা সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলছে, তারা এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। প্রশাসনকে তারা সতর্ক করে বলেছে যে, বিষয়টি চেপে না রেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে যে, গাছ (Trees) কাটার ঘটনার পর বিষয়টি আড়াল করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চলছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
এই ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে যদি বিষয়টি আরও সামনে আসে, তবে তৃণমূলের জন্য এটি বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।