আরজি করে চিকিৎসা সংকট, শাসকদলের লম্বা পোস্টে উঠে এলো জীবন বাঁচানোর উপদেশ

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই পোস্ট করা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই…

junior doctors strike will continue as CBI not reported RG Kar case investigation progress , সিবিআই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি না জানানোয় জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি জারি থাকবে

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই পোস্ট করা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ।

গতকাল অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যভবনে সাফাই অভিযানের ডাক দিয়েছিল তারা। হাতে ঝাঁটা এবং প্রতীকী মগজ নিয়ে এই অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন তারা। এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল সাধারণ মানুষ। আজ অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর এখনও পর্যন্ত তারা তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে তাদের ইমেল পাঠানো হলেও সুরাহা কিছুই হয়নি। নবান্ন থেকে পাঠানো ইমেলের ভাষা জুনিয়র চিকিৎসকদের অপমানজনক বলে মনে হয়েছে। তাই নবান্নে যায়নি জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল।

   

নবান্ন থেকে পাঠানো ইমেলে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে ১০ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কাল। সেই সংখ্যা বাড়াতে চেয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর নবান্নে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই আবহে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে। “হাজার হাজার দুর্বল রোগীকে পরিত্যক্ত করা হচ্ছে, যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে, কারণ জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। বাঁকুড়ার এক যুবতী, মাঝে মাঝেই খিঁচুনির সঙ্গে লড়াই করছে। সেই মেয়েটির পরিবার চিকিৎসার জন্য গোটা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘুরে বেরিয়েছে, কিন্তু চিকিৎসা পায়নি।”

সেই পোস্টে আরও যোগ করা হয়েছে, “প্রতিবাদী ডাক্তারদের পরিস্থিতির ঊর্ধ্বে উঠে, জীবন বাঁচানোর পবিত্র শপথের কথা মনে করার উপযুক্ত সময় এসেছে।”