বিহারে ৫ আসন জয়ের পর বাংলাকে টার্গেট এই দলের!

aimm-target-west-bengal-assembly-election-2026-malda-to-murshidabad

Warning: Undefined array key "amp-frontpage-select-option-pages" in /home/kolkata24x7/public_html/wp-content/plugins/accelerated-mobile-pages/includes/thirdparty-compatibility.php on line 1924

হায়দরাবাদের অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলমিনি (AIMM) বিহারে পাঁচটি আসন জয়ের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন এই দল ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বিশেষ লক্ষ্য করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মালদা ও মুর্শিদাবাদকে।

Advertisements

মিম ইতিমধ্যেই মালদার কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, মানিকচক, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল এবং রতুয়ায় পার্টি অফিস চালু করেছে। পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব নিয়মিত কর্মী ও কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ চালাচ্ছে।

   

মমতাকে ‘বিষাক্ত মিথ্যেবাদী’ কটাক্ষ মালব্যর

মিমের মালদা জেলা সভাপতি রেজাউল করিম জানিয়েছেন, “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড রাজ্যের সব জায়গায় চলছে। মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় আমাদের কার্যক্রমের গতি বেশি। বর্তমানে মালদার ৪০ শতাংশ ব্লকে পার্টি অফিস খোলা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমরা আমাদের কাজ সম্পূর্ণ করব এবং সর্বশক্তি নিয়ে ভোটের ময়দানে নামব।”

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, “বাংলার সংখ্যালঘু জনগণ বহু বছর ধরে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের শিকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ছাব্বিশের ভোটে আমাদের লক্ষ্য তাদের অধিকার নিশ্চিত করা।”

অন্যদিকে, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা মালদা দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী মিমের এই প্রচেষ্টাকে কার্যত উড়িয়ে বলেছেন। তিনি বলেন, “বিহারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাংলার সঙ্গে মিল নেই। এখানে মানুষ রাজনৈতিকভাবে অনেক সচেতন। ধর্মের ভিত্তিতে ভোটাভুটি করা যাবে না। তাই মিমের রাজ্যে আসার সম্ভাব্য প্রভাব কম।”

Advertisements

তৃণমূলের মালদা জেলা সহসভাপতি শুভময় বসু আরও বলেছেন, “মিম প্রকল্পটি মূলত বিজেপির। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করছেন, তারা ভুল বুঝছেন। একুশের নির্বাচনে মিম মালদায় হারের মুখ দেখেছে।”

বিজেপির দক্ষিণ মালদা জেলা সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে মসনদে বসাই আমাদের লক্ষ্য। মিম বা অন্যান্য দলের কার্যক্রম আমাদেরকে প্রভাবিত করবে না। তবে মিমের জেলা সভাপতির কথায় সত্য আছে, রাজ্যের মুসলমানদের দীর্ঘদিন ধরে ভুল বোঝানো হয়েছে।”

রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছাব্বিশের নির্বাচনে মিম যদি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়, তবে মূল ক্ষতি হবে তৃণমূলেরই। কারণ, বামপন্থী দলগুলি তাদের কমিটেড ভোট পাবেই এবং কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকেও মিম উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারবে না।

মালদার রাজনৈতিক পরিসরে গনি খানের নাম এখনও গুরুত্বপূর্ণ, এবং সংখ্যালঘু ভোটের বড় অংশ তৃণমূলেরই। ফলে মিমের আসা-যাওয়া থাকলেও রাজ্য রাজনীতিতে বড় রকমের প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।