ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা শনিবার জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রজ্ঞা ভবনে GST ‘জাগরুকতা অভিযান’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর সংগ্রহ রাজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে রাজ্যের বার্ষিক বাজেট ২৭,৮০০ কোটি টাকা হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব মাত্র ৩,৭০০ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের মোট বাজেট থেকে ১০,০০০ কোটি টাকা অবশিষ্ট থাকে, যা নন-প্ল্যান ব্যয়ের অর্থে ব্যবহার হয়, যেমন: বেতন, পেনশন, ঋণ এবং ঋণের সুদ পরিশোধ। রাজ্যকে তার নিজস্ব রাজস্বের ২৫ শতাংশ (৩,৭০০ কোটি টাকা) ত্রিপুরা জনজাতি অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (TTAADC) এবং ১০ শতাংশ ইউআরএলবি (Urban Local Bodies) কে দিতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের উন্নয়নে কর সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তার জন্য কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে রাজ্য আরও উন্নত হয়ে উঠবে। তিনি আরও যোগ করেন, রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদনের জন্য কর সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। রাজ্যের বর্তমান বাজেট পরিকল্পনায়, সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, তিনি রাজ্যের জনগণকে GST সম্পর্কে আরও সচেতন করার আহ্বান জানান এবং একই সঙ্গে তাদের কর প্রদানকে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব থেকে আরো বেশি প্রাধান্য দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যত বেশি মানুষ সঠিকভাবে কর প্রদান করবে, তত বেশি রাজ্য উন্নয়ন করতে পারবে।” রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে, ত্রিপুরায় কর ব্যবস্থাপনার সংস্কার এবং রাজস্ব সংগ্রহের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি পাবে, যা রাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে সমর্থন করবে।