মুর্শিদাবাদে অধীরের মাস্টার-স্ট্রোক! তৃণমূলের ঘর ভাঙিয়ে ১০০০ জনের কংগ্রেসে যোগ!

কলকাতা: ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের জমি শক্ত করতে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী। সেইসঙ্গে সাংগঠনিক মেরামতির কাজে ব্যস্ত কংগ্রেস (Congress)। এরই মাঝে নিজের জেলা…

কলকাতা: ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের জমি শক্ত করতে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী। সেইসঙ্গে সাংগঠনিক মেরামতির কাজে ব্যস্ত কংগ্রেস (Congress)। এরই মাঝে নিজের জেলা মুর্শিদাবাদে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (adhir ranjan chowdhury)। জানা গিয়েছে, বহরমপুরের জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে দলে দলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে।

শনিবার বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি মনোজ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ফারাক্কা সহ একাধিক জায়গা থেকে একাধিক সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “এই বিপুল সংখ্যক মানুষের যোগদান আগামীদিনে কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করবে”।

   

Advertisements

যদিও, অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) থেকে কংগ্রেসে নেতা-কর্মীদের যোগ দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “তৃণমূল থেকে কোনও লোক যাননি। যারা কংগ্রেস করত তাঁরাই ওই অনুষ্ঠানে গেছে।” লড়াইয়ের ময়দানেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন মনিরুল ইসলাম। ফারাক্কা থেকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে বিধায়ক বলেন, “তৃণমূলের কোনও অঞ্চল, ব্লক নেতৃত্ব কেউ কংগ্রেসে যায়নি। ফারাক্কাবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের পাশে আছে। উন্নয়ন দেখেই তাঁরা ভোট দেবেন”।

উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হন ইউসুফ পাঠান। ১৯৯৯ সাল থেকে ‘অধীরের গড়’ বলে পরিচিত ছিল বহরমপুর লোকসভা। সেখানে কংগ্রেসকে স্তব্ধ করে দিয়ে তৃণমূল জয়ী হওয়ার পর থেকেই জেলায় নিজের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই প্রায় হাজার খানেক কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় অধীরের হাত শক্ত হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।