Adhir Chowdhury: দিকভ্রান্ত অধীর! নিজের গড়ে হেরে এখন কী করবেন ভেবে আকুল

দেশজুড়ে দলের চরম দুঃসময়ে তিনি জয় পেয়েছিলেন। এবার কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেড়েছে। কিন্ত, বহরমপুরেই হেরে গিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ষষ্ঠবার আর যাওয়া হল না সংসদে। হেরে…

Congress High Command forbade Adhir Chowdhury from leaving Delhi banglow indicating that he would become a Rajya Sabha MP, দিল্লির বাংলো ছাড়তে নিষেধ করে অধীর চৌধুরীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ইঙ্গিত কংগ্রেস হাইকমান্ডের

দেশজুড়ে দলের চরম দুঃসময়ে তিনি জয় পেয়েছিলেন। এবার কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেড়েছে। কিন্ত, বহরমপুরেই হেরে গিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ষষ্ঠবার আর যাওয়া হল না সংসদে। হেরে যেন দিশেহারা বহরমপুরের ‘রবিনহুড’। গলায় ঝরে পড়ছে হতাশা। তবে হারের জন্য নয়! অধীরের আক্ষেপের মূলে কংগ্রেস হাইকমান্ডের আচরণ। এ জন্য বড় সিদান্তও নিয়ে ফেলেচেন তিনি।

অধীর হার স্বীকার করে নিয়েছেন। এ জন্য কারচুপি বা সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলেননি। উল্টে তাঁর ব্যর্থতা হজম করেছেন। এতসবের মধ্যেও গত লোকসভার দলনেতার জন্য হাইকমান্ডের তরফে কোনও ফোন আসেনি অধীর চৌধুরীর কাছে। মুখে না বললেও এই কারণেই কিছুটা হতাশা গ্রাস করেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে।

   

চাপে মোদী, এবার বুঝে নেওয়ার পালা! নীতীশের চোখে কোন কোন মন্ত্রক?

দিন কয়েকের মধ্যে অধীর দিল্লি যাচ্ছেন। জানিয়েছেন, সাংসদ থাাকালীন তাঁর জন্য বরাদ্দ বাড়ি খালি করতেই তাঁর এই রাজধানী সফর। অধীরবাবুর কন্যা দিল্লির সেই বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করেন। কিন্তু, সংসদে ঠাঁই না হওয়ায় এবার সেই বাড়িকে বিদায় জানানোর পালা। নতুন বাড়ি খুঁজবেন বহরমপুরের এই পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতা।

Bijemool: ‘সর্বহারা’ অর্জুন-তাপসের নজর তৃণমূলে, হেরো বিজেমুলীরা বিধানসভায় যেতে ‘ম্যানেজ করছেন’

জানা গিয়েছে, অদীর চৌধুরী তাঁর ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, দিল্লিতে হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা হলে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার কথা বলবেন। তাঁর কথায়, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে টাকা উপার্জনের দিকে মন দিইনি। তাই এখন কীভাবে সময় কাটাব, ঠিক বুঝতে পারছি না।’

বহরমপুর আর অধীর চৌধুরী যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন। সেখানেই পরাজিত ‘রবিনহুড়’। অধীরের মন যেনে ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কেন্দ্র থেকে ৮০ হাজার ভোটে জয় পেয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। এবার অবশ্য তৃণমূলের ইউসুফ পাছানের কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। হেরে মেরুকরণের রাজনীতিকে দুষেছিলেন তিনি।