নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির অস্থায়ী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অধীর চৌধুরি। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। লোকসভা ভোটে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর তিনি এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে তিনি ইস্তফা পত্র জমা দিলেও কংগ্রেস হাইকমান্ড থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর ইস্তফায় কোনও সিলমোহর পড়েনি।
অধীরই থাকবেন নাকি রাজ্যে স্থায়ী প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অন্য কেউ হবেন? তা পুরোটাই নির্ভর করছে দলের হাইকমান্ডের ওপর। যতক্ষণ না সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের তরফে কোনও গ্রীন সিগন্যাল পাচ্ছে, ততক্ষণ এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। শুক্রবার মৌলালী যুব কেন্দ্রের সভাঘরে বর্ধিত কংগ্রেস কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কমিটির সভাপতি অধীর চৌধুরি, সর্বভারতীয় কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মীর ও রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরি। অধীর পদ ছাড়লে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের এই জয়ী কংগ্রেস সাংসদই কি হাল ধরবেন প্রদেশ কংগ্রেস? বিধানভবনে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনই গুঞ্জন।
গতবছর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি সভাপতি হওয়ার পর বাংলাসহ একাধিক রাজ্যে প্রদেশ কমিটির সভাপতিরা অস্থায়ী পদে রয়ে গেছেন। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে গোটা দেশে আশানুরূপ ইতিবাচক ফলাফলের পর প্রদেশ নেতৃত্বকে ফের ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং-য়েও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছিল। এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে উদ্যেগ নিল হাইকমান্ড।
বাংলায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের এখনও ভরসার নাম প্রবীন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি। কিন্তু লোকসভা ভোটে রাজ্যে কংগ্রেসের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। নিজের কেন্দ্র বহরমপুরেই আনকোরা তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছেই পরাজিত হয়েছেন খোদ অধীর। তারপর তিনিই কি রাজ্যে দলের ব্যটন হাতে নিয়ে থাকবেন তা নিয়েও শুরু হয় জল্পনা। তবে রাজ্যে নেতা-কর্মীদের ‘সহানুভূতি’ থাকলেও হাইকমান্ড কি ভাবছে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দল। যদিও ভোট চলাকালীন খাড়গের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল কংগ্রেসের ‘রবিনহুড’কে। ইন্ডিয়া জোটসঙ্গী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের জেরে হাইকমান্ডের তিরস্কার শুনতে হয়ে তাঁকে। আর তারপর থেকেই অধীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।