সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এই খবরে যেমন অনেকে খুশি আবার অনেকের কটাক্ষ– কেন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সময় লাগল ৫৫ দিন! শেখ শাহজাহান বিরুদ্ধে বিবিধ অভিযোগ। চাষের জমিতে জল ঢুকিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে রাতে মেয়েদের পিঠেপুলি বানাতে ডাকা। আর তারপরেই নাকি করা হত যৌন হেনস্তা।
শেখ শাহজাহান ফেরার হওয়ার পর যখন ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ, সেই সময় সন্দেশখালির মহিলাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, রাতে আদৌ পিঠেপুলি বানাতে ডাকা হত কিনা! আগেও শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হত শাহজাহানের সঙ্গে কথা বলেই সমাধান করে নিতে।
সম্প্রতি সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। তিনি ঘটনার সমালোচনা করে সেইসব মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। কলকাতায় ফিরে সাংবাদিক সম্মেলন করেও নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
এক সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেতা বাদশা মৈত্র বলেন, ‘বড় বড় র্যাঙ্কের পুলিশ অফিসার, বিভিন্ন কমিশনের যারা প্রতিনিধি তাঁদের বাড়ি থেকে কোনও ভদ্রমহিলাকে যদি তুলে নিয়ে যাওয়া হত তাহলে কি তাঁরা প্রশ্ন করত তাদের দিয়ে মশলা বাটিয়েছে না পিঠেপুলি করেছে? আমার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে হলে আমি যে আচরণ করতাম, যতটা ব্যথা পেতাম যতটা আহত হতাম, আমি বলব আমাদের ততটাই সমব্যথী হওয়া উচিৎ।’