দুর্গাপুরের ঘটনায় মমতা-সরকারকে তুলোধোনা করলেন অভয়ার বাবা

কলকাতা: দুর্গাপুরে (Durgapur) ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার এবং প্রশাসনকে তুলোধোনা করলেন আর জি…

কলকাতা: দুর্গাপুরে (Durgapur) ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার এবং প্রশাসনকে তুলোধোনা করলেন আর জি কর কান্ডের অভয়ার (Abhaya) বাবা। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের সমালোচনা করার পাশাপাশি এনসিআরবি-র তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Advertisements

অভয়ার বাবা বলেন, “তারা ডাক্তার, সমাজের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। কিন্তু (রাজ্য সরকার) তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না… এই প্রশাসন এখনও ভুক্তভোগীর উপরেই প্রশ্ন তোলে। যাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের দায়ভার নেওয়া উচিৎ এবং পদত্যাগ করা উচিত।”

Advertisements

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভয়ার বাবা আরও বলেন, “এরা লোভী। এই প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করছে না। সেই কারণেই একের পর এক এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। এত কিছুর পরেও (NCRB) পশ্চিমবঙ্গকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে অভিহিত করেছে! তারা কীভাবে এই প্রতিবেদনগুলি তৈরি করে?” অন্য রাজ্য থেকে স্বপ্নপূরণে এসেছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। “কিন্তু কী হল? তাকে ধর্ষণ করা হল, তার স্বপ্নকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। সে বেঁচে আছে, কিন্তু তাঁর যন্ত্রণাটা একবার কল্পনা করুন”, বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন অভয়ার বাবা।

ওড়িশা থেকে দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়তে এসে গণধর্ষণের শিকার তরুণী

শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ দুর্গাপুরের (Durgapur) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে পাশের জঙ্গলে গণধর্ষণ করা হয় ওড়িশার ওই ছাত্রীকে বলে অভিযোগ। ঘটনায় কলেজের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা।

তিনি বলেন, “বান্ধবীর সঙ্গে ৮.৩০ টা নাগাদ ক্যাম্পাসের বাইরে ফুচকা খেতে গিয়েছিল আমার মেয়ে। তাঁর প্রেমিক ওয়াসিফ আলি তাঁকে ফোন করে বাইরে যেতে বলে। এরপর তিন চারজন ওদের ঘিরে ধরে এবং ফোন ছিনিয়ে নেয়।” সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছাত্রীর বাবা বলেন, “কলেজের হোস্টেল অনেক দূরে। আমার মেয়ে খাওয়ার জন্য বাইরে গেছিল। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। এত গুরুতর ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”