পায়ুদ্বারে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে অত্যাচার! জলঙ্গি থানার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ

থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক অত্যাচারের ঘটনা সামনে এল জলঙ্গিতে। এক অভিযোগকারীর ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, একটি স্থানীয় গণ্ডগোলের জেরে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে থানায়…

jalangi

থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক অত্যাচারের ঘটনা সামনে এল জলঙ্গিতে। এক অভিযোগকারীর ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, একটি স্থানীয় গণ্ডগোলের জেরে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে উলঙ্গ করে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, আরও বর্বর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে, ওই ব্যক্তির মলদ্বারে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে।

জানা গিয়েছে, দুদিন আগে গ্রামের সেলুনের বাইরে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ গিয়ে এক যুবককে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে মানসিকভাবে হেনস্থাও করা হয়। নিগৃহীতের বাবা সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, “আমার ছেলের কোনও দোষই নেই। সেলুনের দোকানে অল্প ঝামেলা হয়েছিল। আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উলঙ্গ করে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়া হয়েছে। এটা কোথাকার আইন? আমি ওই ওসির শেষ দেখে ছাড়ব।”

   

তবে থানার তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। উপরন্তু তাঁদের বক্তব্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেলুনেও অশান্তি পাকাচ্ছিলেন। তবে অভিযুক্তর কথায়, “আমার সঙ্গে সেলুনে অল্প ঝামেলা হচ্ছিল, সেরকম কোনও বিষয়ই নয়। সেখানে হঠাৎ চলে আসেন ওসি-র গাড়ির ড্রাইভার। তিনিই হঠাৎ বলেন আমি নাকি ওসির বিরুদ্ধে ভুলভাল কথা বলছি। সেই কথা গিয়ে থানায় বড়বাবুকে বলেন। আর তারপরই এরকম অত্যাচার।”

জানা গিয়েছে অসুস্থ হয়ে ওই যুবক প্রথমে ভর্তি হন সাদিখাঁরদেয়াড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ওপর অত্যাচারের কথা সংবাদমাধ্য়মের কাছে বলেন ওই যুবক।