পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় ফের মিড-ডে মিলের মধ্যে টিকটিকি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রায় ৩৫ জন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া ব্লকের দুই নম্বর তেহাট জুনিয়র বেসিক স্কুলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের খাবার খাওয়ার সময় আচমকা একটি টিকটিকি দেখা দেয়, কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব ছাত্রই সেই খাবার খেয়ে ফেলেছে। কিছুক্ষণ পর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। কারও বমি শুরু হয় আবার কারও পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বৃন্দাবনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের স্কুলের মিড-ডে মিলের মধ্যে মৃত টিকটিকি এমনকি সাপও খুঁজে পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর কেন্দ্রীয় দল বিদ্যালয় পরিদর্শন করে মিড-ডে মিলের মান পরীক্ষা করে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, এই স্কুলের বাবুর্চি ঠিকমতো শোনেও না, দেখেও না। বাবুর্চির বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের ছাত্র প্রদীপ মালি ঘটনার বিষয়ে বলেন, “ডাল, আলুর তরকারি ও ভাত রান্না করা হয়েছিল। খাওয়ার সময় দেখলাম একটা আস্ত টিকটিকি খাবারের উপর ভাসছে। যত তাড়াতাড়ি আমি এটা দেখেছি। স্যারকে বললাম। স্যার বললেন- ফেলে দিয়ে খাও। খাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরতেই বমি শুরু হলো।
এ ঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গোলাপি হান্ডির সন্তানও এই স্কুলে পড়ে। তিনি রাগান্বিত সুরে বলেন, “বাচ্চারা তখন স্কুল থেকে ফিরছিল। তারা নিজেদের মধ্যে একথা বলছিল। তাদের মধ্যে একজন বলছিলেন যে তিনি টিকটিকির ঝোল খেয়েছেন। আমি কৌতূহলবশত খোঁজ করতেই জানতে পারলাম ডাল-কড়িতে একটা টিকটিকি পড়েছে। তা সত্ত্বেও শিশুদের ওই খাবার খাওয়ানো হয়। ঘটনার কথা শুনে আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে বিদ্যালয়ে যাই। আমরা আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। স্কুলের বাবুর্চি দেখতেও পায় না শুনতেও পায় না। আমরা তাকে অনেকবার পরিবর্তন করতে বলেছি। কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। এদিকে টিকটিকিকে দেওয়া খাবারের কথা বলতে গিয়ে বাবুর্চি বলেন, আপনার বাচ্চা কি খেয়ে মারা গেল? এদিকে গোটা ঘটনা জানতে পেরে শিক্ষা দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।