প্রাণ বাঁচাতে চোরাপথে ভারতের প্রবেশ, বনগাঁয় আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার ৩ বাংলাদেশি

প্রাণ বাঁচাতে চোরাপথে (Illegal Route) ভারতের (India)প্রবেশ।বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে তিন বাংলাদেশির (3 Bangladeshis) বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরা হলেন গীতা…

Bangladeshis Arrested Bongaon

প্রাণ বাঁচাতে চোরাপথে (Illegal Route) ভারতের (India)প্রবেশ।বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে তিন বাংলাদেশির (3 Bangladeshis) বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরা হলেন গীতা মণ্ডল, ভবসিন্ধু মণ্ডল ও তাঁদের ভাগ্নে সুদীপ মণ্ডল। ধৃতরা সবাই বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এই তিনজন চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, পরে পুলিশের হাতে ধরা (arrested) পড়েন।

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় বনগাঁয়ের (Bongaon) পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যার ফলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ বেড়ে গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গত বুধবার এই তিন বাংলাদেশি চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করেন এবং বনগাঁতে আসেন। তারা আশ্রয় নেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

   

এই দম্পতির মেয়ে, বর্ণা মণ্ডল, শ্রীরামপুরে বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশে অত্যাচারের কারণে তার বাবা-মা ভারতে চলে এসেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন এক ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যার কারণে বাবা-মা এখানে চলে এসেছেন।”

এদিকে, তাদের আশ্রয়দাতা খোকন বিশ্বাস জানান, “বাংলাদেশে এখন হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলছে। বেছে বেছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “তারা ভয়ে একে অপরকে নিয়ে এখানে পালিয়ে এসেছেন, কিন্তু পুলিশ জানতে পেরে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।”

বর্ণা মণ্ডল, বলেন, “বাংলাদেশে সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ। আমার বাবা-মা এখানে চলে এসেছেন, কারণ তারা সেখানে নিরাপদ ছিলেন না। পুলিশ পরে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।”

এদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায়, অন্তর্বর্তী সরকার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, “দেশের অস্থির এলাকাগুলিতে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সীমান্ত এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে আরও কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে।