খুনি ঘুরছে নিশ্চিন্তে। তার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ। শিলিগুড়িতে (Siliguri) গতি শনিবার ১১টি কুকুরছানা খুনের রহস্য এখনও সমাধান করা যায়নি। বাড়ছে পশুপ্রেমী সংগঠনের ক্ষোভ। আর মনোবিদরা বলছেন, যে এই নিরীহ কুকুরছানাগুলি মেরে ফেলতে পারে সে মানসিক বিকৃত। যে কোনও সময় ফের নৃশংস হতে পারে। তার শিকার যে শুধু পোষ্যরা হবে এমনটা নয়। মানুষও খুন করতে পারে। পেশাদার কোনও অপরাধী না হওয়ায় এমন ধরণের বিকৃতরা সবার মধ্যে সাধারণভাবে থাকে।
গত শনিবার রাতে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক সংলগ্ন এলাকার ড্রেন থেকে ১১টি কুকুরছানার দেহ মিলেছিল। খাবারে বিষ দিয়ে তাদের মেরে ফেলা হয় বলেই মনে কপাল হচ্ছে। এই নৃশংস ঘটনা শিলিগুড়িতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পশুপ্রেমী সংগঠন ক্ষোভ দেখায়। মৃত ১১টি কুকুরছানার দেহের মযনাতদন্ত করা হয়েছে। খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকাতাতে পাঠানো হয়েছে। পশুপ্রেমী সংগঠনের দাবি, তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। খুনিকে ধরে কঠিন শাস্তি দেওয়া হেনা।
শিলিগুড়িতে ১১টি কুকুরছানা খুনের জেরে সাধারণ মানুষও ক্ষুব্ধ। শতাধিক মানুষ হাতে মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড হাতে সুভাষপল্লীর বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় পদযাত্রা করেন। মিছিল থেকে কুকুর শাবক খুনের দ্রুত তদন্ত দাবি উঠেছে।
