‘১০০-র বেশি WBCS, ২০ জন IAS সাহায্য করছেন আমাকে’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

কলকাতা: এসআইআর বিতর্কের আঁচ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে। এর মধ্যেই এবার রাজ্য প্রশাসনের অন্দরমহল ঘিরে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর…

100 WBCS 20 IAS help Suvendu

কলকাতা: এসআইআর বিতর্কের আঁচ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে। এর মধ্যেই এবার রাজ্য প্রশাসনের অন্দরমহল ঘিরে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক WBCS অফিসার ও ২০ জনের বেশি IAS আধিকারিক নাকি সরাসরি তাঁকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করছেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি (100 WBCS 20 IAS help Suvendu)।

শুভেন্দু বলেন, “BLO-দের পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এটা করে ভোটার তালিকা তৈরি করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন কার্যত মমতার প্রশাসনের বাধার মুখে। এইভাবে চললে বাংলায় ভোটই হবে না। কিন্তু আমার কাছে তথ্য আসছে, ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনের সেই সব অফিসারদের যারা সাহস দেখাচ্ছেন। ১০০-র বেশি WBCS, ২০ জনের বেশি IAS অফিসার আমাকে সাহায্য করছেন।”

   

এই মন্তব্যের পরপরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, বিরোধী দলনেতার এহেন বক্তব্য কার্যত রাজ্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলছে।

তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার কড়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যদি কোনও অফিসার সরকারের বিরুদ্ধে গোপনে কাজ করে থাকেন, তাহলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ হোক। কে কে তথ্য দিচ্ছে, সেটা বেরিয়ে আসা দরকার।”

Advertisements

প্রসঙ্গত, বিহারে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে Statewide Electoral Roll Revision বা SIR। বাংলাতেও অগস্ট থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজ্যের বহু BLO (Booth Level Officer)-কে ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রের তরফে নির্দিষ্ট কিছু আধিকারিকদের এসআইআরের দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়েছে।

এই প্রক্রিয়া ঘিরেই একাধিকবার আপত্তি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমাদের না জানিয়ে এক হাজার মানুষকে দিল্লি ট্রেনিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি অবগতই ছিলাম না। অনেক ডিএম (জেলা শাসক) নজর দিচ্ছেন না। তাঁদের চোখ-কান খোলা রাখা উচিত। আজ বাংলায় যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, তাঁদের উপরেই নজরদারি চলছে।”

এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতার প্রশাসনিক ফাঁস ও সহযোগিতার দাবি নতুন মাত্রা যোগ করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তাহলে তা প্রশাসনিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও সাংবিধানিক নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে। আর যদি মিথ্যা হয়, তাহলে বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের জন্যই বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়াবে।