রাশিয়া আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার হামলার জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়াবহ। আর সেই কারণেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশকে রক্ষা করতে আমআদমিকে হাতিয়ার তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যারা দেশকে রক্ষা করতে চায় সেইসব ইউক্রেনের নাগরিকদের অস্ত্র দেবে সরকার।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, “যাঁরা এখনও রাশিয়ার কাছে তাদের বিবেক খোয়াননি, তাঁদের সময় এসেছে। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। যাঁরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত, তাঁদের উপর থেকে আমরা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব। তাঁরা হাতে অস্ত্র নিয়ে দেশকে রক্ষা করুন।”
জেলেনস্কি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানো নিয়ে মস্কোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য রাশিয়ানদেরও আবেদন জানিয়েছেন। একটি টুইটে তিনি এই আক্রমণকে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি লেখেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানি যেমন করেছিল, রাশিয়াও সেবাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে সকালে আমাদের দেশ আক্রমণ করে। বিশ্বের ইতিহাসে আমাদের দেশের বিভিন্ন দিকে রয়েছে। রাশিয়া মন্দের পথে হাঁটছে, কিন্তু ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করছে। মস্কো যাই ভাবুক না কেন, ইউক্রেন স্বাধীনতা ছাড়বে না।”
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সকালে। আক্রমণের আগে, পুতিন ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে। ইউক্রেনের মতে, রাশিয়ার গোলাবর্ষণে অন্তত ৭ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। শচস্ত্য অঞ্চল ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং ৫০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। আরেকটি রাশিয়ান বিমান ক্রামতোর্স্ক অঞ্চলের কাছে ধ্বংস করা হয়েছে।