আমৃত্যু কারাদণ্ড! জেলে সঞ্জয়কে কী ধরণের কাজ করতে হতে পারে? পারিশ্রমিকই বা কত?

কলকাতা: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলেই…

What kind of work might Sanjay have to do in jail

কলকাতা: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস৷ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে তাঁকে৷ শুধু বন্দিই থাকবেন না সঞ্জয়, সেখানে কায়িক পরিশ্রমও করতে হবে তাঁকে৷ যেমনটা বাকি ‘অদক্ষ’ কর্মীরা করে থাকে৷ এমনটাই জানাচ্ছে দ্য টেলিগ্রাফ (telegraphindia)৷

এখন সংশোধনাগারে থাকা মানে সারাদিন শুধু চার দেওয়ালের অন্দরে বন্দি থাকা নয়। রীতিমতো কাজও করতে হয় তাঁদের৷ কয়েদিদের শিক্ষাগত বা কারিগর যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হয়। জেলের মধ্যে থেকেই কাজ করেন বন্দিরা৷ সামান্য হলেও শ্রমের বদলে মেলে পারিশ্রমিক। স্বাভাবিক ভাবেই সংশোধনাগারে এবার কাজ করতে হবে আরজি কর-কাণ্ডের দোষী সঞ্জয়কেও৷  

   

কেমন কাজ করতে হতে পারে সঞ্জয়কে? What kind of work might Sanjay have to do in jail

দ্য টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সঞ্জয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত৷ ফলে তাঁকে ‘অদক্ষ শ্রমিক’ হিসেবেই ধরা হবে। সেক্ষেত্রে সঞ্জয়কে বাগান পরিষ্কার, ঝাড়ুদার, সবজির বস্তা বয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা টয়লেট পরিষ্কার করার মতো কাজগুলি দেওয়া হতে পারে৷ জেল কর্তৃপক্ষ কোনও বন্দিকে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আগ্রহের ভিত্তিতেও কাজের দায়িত্ব দিয়ে থাকে। কেউ যদি রান্নার কাজ ভালো জানে, তাহলে তাকে রান্নাঘরের কাজ দেওয়া হয়৷ জেলের হেঁশেলে ঢুকে সমস্ত বন্দিদের জন্য রান্নাবান্না করতে হয় তাদের৷ আবার কেউ বাগানের কাজে দক্ষ হলে, তাঁকে সেই কাজ দেওয়া হয়ে থাকে৷ 

শিক্ষিত বন্দিদের ক্ষেত্রে কাজের ধরণটা একটু আলাদা হয়৷ তাঁদের সাধারণত অধিক কায়িক পরিশ্রম করতে হয় না৷ বদলে নথিপত্র লেখা, কম্পিউটারে ডেটা এন্ট্রির মতো কাজে লাগানো হয়৷ তাঁরা জেল আধিকারিকদের নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে৷ 

মজুরি কত? 

দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের উপার্জনের পরিমাণও আলাদা হয়৷ একজন অদক্ষ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি দিনে ১০০ টাকা৷ অর্ধ-দক্ষ শ্রমিকের মজুরি দৈনিক ১২০ টাকা৷ সেখানে দক্ষ শ্রমিকের দিনে ১৩৫ টাকা মজুরি দেওয়া হয়৷  তবে উপার্জনের টাকা সরাসরি তাঁদের হাতে দেওয়া হয় না৷ এই টাকা পাঠানো হয় তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে৷ তবেএই টাকার অর্ধেক তাঁরা ক্যান্টিন খরচ বা বাড়িতে ফোন করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে৷ এই টাকারে বলে সাদা টাকা৷ বাকি অর্ধেক টাকা জমা থাকে জরুরি পরিস্থিতির জন্য৷ এই টাকাকে বলে লাল টাকা৷ 

 

সঞ্জয় একসময় বক্সিং খেলতেন৷ তিনি প্রশিক্ষিত বক্সার৷ ফলে জেলে কায়িক পরিশ্রমের কাজই করতে হবে তাঁকে৷ কাজের সময় সেল থেকে বেরনোর সুযোগ পাবেন৷ বাকি সময়টা সেলের ভিতরেই থাকতে হবে তাঁকে৷