দার্জিলিং: উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি রাজ্যস্তরের টাস্ক ফোর্স (Task Force) গঠন করেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর, ২০২৫) এই টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ, জিটিএ-র প্রধান নির্বাহী অনিত থাপা এবং অন্যান্য শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “টাস্ক ফোর্স চলমান ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছে এবং স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে। এতে গৃহনাশের মূল্যায়ন, রাস্তাঘাট ও স্থায়ী অবকাঠামো সংস্কার, নদী খনন ও নিকাশি ব্যবস্থা, এবং বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে দার্জিলিং জেলায় ১৯টি ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে, যেখানে প্রায় ৬৪০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, ২০০-এর বেশি ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন দল এবং ২১টি আউটরিচ ক্যাম্প গৃহনাশ ও অবকাঠামো ক্ষতির মূল্যায়ন এবং হারানো নথি পুনঃপ্রদানে সাহায্য করছে।
৫ অক্টোবরের প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও অন্যান্য উত্তরবঙ্গের জেলায় ৩০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দুটি বার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম ও পুনর্বাসনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন।
এদিন দার্জিলিং জেলার সুখিয়াপোখরির কাছে মাসধুরা এলাকায় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। বিস্তা সামাজিক মাধ্যমে জানান, অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা তার কনভয়ে পাথর নিক্ষেপ করে। তিনি বলেন, “আমাদের ভয় পাবার কিছু নেই, এই হামলা আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।” পুলিশ ইতিমধ্যেই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে এই মাসে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জলপাইগুড়িতে বন্যা পরিদর্শনের সময় হামলার শিকার হয়েছিলেন।