জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও (Putin) পুতিন। কেমন লাগল আমাদের উপহার? রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অভিনন্দন বার্তার ঝড় তুলেছেন ইউক্রেনীয়রা। তাঁদের অভিনন্দন অবশ্য কটাক্ষের সুরে। কারণ, শনিবার প্রবল বিস্ফোরণে ধসে পড়েছে ক্রিমিয়া (Crimea) উপদ্বীপে যাওয়ার সেতু। রুশ অধিকৃত এই এলাকা এখন রাশিয়া থেকেই বিচ্ছিন্ন!
- কৃষ্ণসাগর তীরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ।
- ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া কেটে নেয় রাশিয়া।
- রুশ নৌ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ক্রিমিয়া।
- রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে ১৮ কিলোমিটার লম্বা সেতু দিয়ে সংযোগ।
বিস্তারিত সংবাদ পড়ুন:
কৃষ্ণসাগর তীরে রাশিয়ার বড়সড় বিপর্যয়। ক্রিমিয়া আপাতত বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেন থেকে আসছে উচ্ছাস বার্তা। কিয়েভ আর মস্কোতে প্রবল উত্তেজনা।
শনিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগকারী বিখ্যাত ক্রিমিয়া সেতুতে। বিস্ফোরণের দায় সরাসরি ইউক্রেন না নিলেও বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, এই হামলা করেছে ইউক্রেন।
কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মিসাইল আঘাত করেছে বিখ্যাত সেতুর উপর। তবে এপি জানাচ্ছে, বোমা বিস্ফোরনেই ধংস হয় সেতুর একাংশ।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, ক্রিমিয়া যাওয়ার সেতুটিতে বিস্ফোরণের জেরে তিন জন মৃত।
আল জাজিরার খবর, শুক্রবার নিজের ৭০ তম জন্মদিন পালন করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আর শনিবার হয়েছে ক্রিমিয়ার সেতুতে হামলা। এর পরেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা সহ কটাক্ষ বার্তায় ইউক্রেনীয়রা জর্জরিত করেছেন পুতিনকে।
জার্মানির ডয়েচভেল সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মালবাহী ট্রাকে বিস্ফোরণের ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ক্রিমিয়া সেতু৷ ঘটনার পর সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে৷ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷
২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে কেটে নিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগর (Black Sea) তীরে ক্রিমিয়া এখন রুশ নৌ সেনার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়া যেতে একটি ১৮ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সেতু পার হতে হয়।
বিবিসির খবর, সেই ক্রিমিয়া সেতুতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। সেই মুহূর্তে রুশ সেনার জন্য রসদ নিয়ে মালগাড়ি যাচ্ছিল। প্রবল বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা জুড়ে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে সেতুটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
রয়টার্সের খবর, বিস্ফোরণের সময় ক্রিমিয়া সেতুর উপরে একটি তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানাচ্ছে, ক্রিমিয়া সেতু দিয়ে আপাতত কোনও সামরিক সরঞ্জামের গাড়ি যাবে না। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর ইউক্রেন জুড়ে উল্লাস শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত রাশিয়ার কাছে বার্তা গেছে চমকিও না পুতিন, সবে তো শুরু।