Ukraine War: বিশ্লেষণে আসছে বিপদে একলা ইউক্রেন বুঝল কেমন হয় মার্কিন সখ্যতা

ইউক্রেনের দখল নিতে আর বেশি সময় নেবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। দেশটির রাজধানী শহর কিয়েভের দ্বারপ্রান্তে রুশ সেনা। বিবিসি বলছে, যে কোনও সময় পতনের খবর…

ইউক্রেনের দখল নিতে আর বেশি সময় নেবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। দেশটির রাজধানী শহর কিয়েভের দ্বারপ্রান্তে রুশ সেনা। বিবিসি বলছে, যে কোনও সময় পতনের খবর নিশ্চিত হয়ে যাবে। এদিকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণে উঠে আসছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব কেমন হতে পারে এ দিকটিও।

একেবারেই বিরাট রুশ হামলার মুখে ই়উক্রেনকে একলা ফেলে দিয়ে গেছে তার মিত্র দেশগুলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো শক্তিধর বন্ধু দেশগুলি এখন আর পাশে নেই। এই প্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় বলেন, অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানকে সমর্থন করতে ‘ভয়’ পেয়েছিল।আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণকদের ধারণা, ইউক্রেন সরকার তাদের বন্ধু দেশগুলিতে ঘুরিয়ে ভীতু বলে চিহ্নিত করেছেন।

   

ইউক্রেনের দুটি রুশভাষী অধ্যুষিত রাজ্যকে স্বাধীন তকমা দিয়ে পুরো ইউক্রেনেই সেনা অভিযান শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবিসির খবর, প্রাথমিক কিছু বাধা দেয় ইউক্রেন। কিন্তু রুশ সেনা ক্রমশ রাজধানী শহর কিয়েভ দখল করতে এগিয়ে আসছে। রুশ প্রেসিডেন্টের যুক্তি, ইউক্রেনে নব্য নাৎসিরা ক্ষমতায়। সেখানে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে।

চিনের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে হামলা চালিয়ে বহু জীবন নষ্ট করেছে তার বেলা? চিনের দাবিতে শোরগোল। রুশ-চিন দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ একজোটে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের (Ukraine War) জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে চিন।  মার্কিন বিদেশ নীতিকে ‘ভণ্ডামি’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ইউক্রেন সরকারের দাবি, বিপদের সময় বন্ধুরা পাশে দাঁড়াল না। তারা রাশিয়ার ভয়ে ভীত। রুশ সরকারের দাবি, ইউক্রেনে নব্য নাৎসিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করতে মরিয়া রুশ সেনা। তবে সংঘর্ষ চলছে দুপক্ষের। ইউক্রেনের পক্ষে দীর্ঘস্থায়ী লড়াই চালানো সম্ভব নয় বলেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন।