রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউক্রেন। আন্তর্জাতিক মহলেও ছড়িয়েছে উত্তেজনার পারদ। রাষ্ট্রসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটো রাশিয়ার ইউক্রেনের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত। এবার ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সোমবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) আন্তর্জাতিক আদালতকে বিষয়টি নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানি করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কুলবা একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, “জরুরি পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ইউক্রেন ২৮ ফেব্রুয়ারির সপ্তাহে ইউক্রেনের অনুরোধে শুনানি করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতকে জানাচ্ছে।” ইউক্রেন আদালতের রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছেন তিনি যেন রাশিয়ান ফেডারেশনকে অবিলম্বে ইউক্রেনে সমস্ত সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
সোমবার দুপুরে বেলারুশে বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। কিন্তু ২১০ মিনিট ধরে চলা বৈঠকর পরও আদৌ কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বৈঠকে কিয়েভের মূল দাবি ছিল, রাশিয়াকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। বন্ধ করতে হবে আগ্রাসন। কিন্তু রাশিয়া পত্রপাঠ ইউক্রেনের এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। ইউক্রেনের মূল লক্ষ্য ছিল অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা। বৈঠকে রাশিয়াকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করার আর্জি জানায় কিয়েভ। অন্যদিকে, রাশিয়া চাইছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটে ইউক্রেন যেন যোগ না দেয়। তবে বৈঠকে রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে দেয়।