লেপচাজগত, দার্জিলিং এর পাহাড়ঘেরা একটি নির্মল নির্জন গ্ৰাম যা অফবীট লাভারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এটি বিখ্যাত হিল স্টেশন দার্জিলিং থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।”লেপচা” একটি উপজাতি গোষ্ঠী যা এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করত, এখান থেকেই এই গ্রামের নামটি পেয়েছিল।
ব্রিটিশরা আসার পর পরিচিতি পেয়েছিল এই আদিবাসী গ্ৰাম এখন যা জনপ্রিয় “উইকেন্ড ডেস্টিনেশন”। মধুচন্দ্রিমার জন্য ও আদর্শ জায়গা। ওক, পাইন, রডোডেনড্রনে মোড়া রাস্তার দুধার। “মেঘ এখানে গাভীর মতো চরে”—যা মাঝে মাঝেই ঢেকে দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। আকাশের মুখ ভার না থাকলে অবশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা হতাশ করবে না আপনাকে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার স্বর্গীয় অভিজ্ঞতাটা কিছুতেই মিস্ করবেন না।
বাহারি ফুল ছাড়াও প্রচুর পাখি চোখে পড়বে এখানে। ফায়ার-টেল্ ড সানবার্ডের মতো বিরল প্রজাতির পাখিও। হাঁটতে বেরিয়ে ক্যামেরা রেডি রাখবেন সবসময়। আর বাইনোকুলার ও। ফরেস্ট ট্রেল ধরে যতদূর মন চায় হেঁটে বেড়ান। পাশে ই রয়েছে বিশাল চা-বাগান ও। বিরল প্রজাতির কিছু অর্কিড ও দেখতে পেয়ে যাবেন এই গ্ৰামে।
দার্জিলিং থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে লেপচাজগত। হাতে যদি বেশি সময় থাকে, লেপচাজগত ট্যুর প্যাকেজেই যোগ করে ঘুরে নিতে পারেন মিরিক, ঘুম, মানেভঞ্জন, বাতাসিয়া লুপ বা জোরপোখরি, কালিম্পং-কার্শিয়াং এর মতো জায়গাগুলো।
*ট্রিপ টিপস*
কিভাবে যাবেন– কলকাতা থেকে বাস বা ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। এরপর ভাড়া বা শেয়ারড জীপে।
কোথায় থাকবেন–ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এর রিসর্ট জনপ্রিয়। এছাড়া অন্যান্য হোম স্টে’র ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
কখন যাবেন– সেরা সময় অক্টোবর থেকে এপ্রিল।