দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলি (OMCs) প্রতিদিন সকাল ৬টায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম হালনাগাদ করে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এবং মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই মূল্য নির্ধারণ করা হয় (Today’s Petrol Diesel Rates)। এর ফলে জ্বালানির দামে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের আপডেটেড রেট জানতে পারেন।
আজ ১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার শহরভিত্তিক পেট্রোল ও ডিজেলের দাম (লিটারপ্রতি)
শহর পেট্রোল (টাকা) ডিজেল (টাকা)
নয়া দিল্লি ৯৪.৭২ ৮৭.৬২
মুম্বই ১০৫.৭১ ৯২.১৫
কলকাতা ১০৩.৯৪ ৯০.৭৬
চেন্নাই ১০০.৭৫ ৯২.৩৪
আহমেদাবাদ ৯৪.৪৯ ৯০.১৭
বেঙ্গালুরু ১০২.৯২ ৮৯.০২
হায়দরাবাদ ১০৭.৪৬ ৯৫.৭০
জয়পুর ১০৪.৭২ ৯০.২১
লখনউ ৯৪.৬৯ ৮৭.৮০
পুনে ১০৪.০৪ ৯০.৫৭
চণ্ডীগড় ৯৪.৩০ ৮২.৪৫
ইন্দোর ১০৬.৪৮ ৯১.৮৮
পাটনা ১০৫.৫৮ ৯৩.৮০
সুরাট ৯৫.০০ ৮৯.০০
নাসিক ৯৫.৫০ ৮৯.৫০
পাটনা ১০৫.৫৮ ৯৩.৮০
কী কারণে পেট্রোল-ডিজেলের দামে তারতম্য হয়?
আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম: পেট্রোল-ডিজেল উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হল অপরিশোধিত তেল। তাই বিশ্ববাজারে এর দামের ওঠানামা সরাসরি প্রভাব ফেলে খুচরো দামে।
রুপি-ডলার বিনিময় হার: ভারত বেশিরভাগ তেল আমদানি করে। ফলে রুপির মূল্য যদি ডলারের তুলনায় পড়ে, তাহলে আমদানির খরচ এবং সেইসঙ্গে জ্বালানির দামও বাড়ে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর: পেট্রোল-ডিজেলের দামের একটি বড় অংশ কর হিসেবে ধার্য হয়। রাজ্যভেদে এই করের হার আলাদা হওয়ায় শহরভেদে দামে পার্থক্য দেখা যায়।
রিফাইনিং খরচ: অপরিশোধিত তেলকে পরিশোধন করে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে খরচ পড়ে। এই খরচও দামে প্রভাব ফেলে।
চাহিদা ও সরবরাহ: বাজারে জ্বালানির চাহিদা বাড়লে দামও বেড়ে যায়। চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য না থাকলে দাম ওঠানামা করে।
২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে দেশে জ্বালানির দামে বড় কোনও পরিবর্তন হয়নি। তখন কেন্দ্র ও বেশ কয়েকটি রাজ্য কর ছাড় দেওয়ার পর দাম কিছুটা কমেছিল। তারপর থেকে নিয়মিতভাবে দাম আপডেট হলেও খুচরো দামে বড় কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি।