গোয়ায় (Goa assembly Election) জমে উঠেছে ভোট উৎসব। ভোটের সাজে সজ্জিত রাজনৈতিক শিবির। সকলেই বলছে ‘একলা চলো রে’। দূরে পদ্ম বনে হাওয়া লেগেছে আরব সাগরের।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Mitra) সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ‘গোয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে হাত বাড়িয়েছিল তৃণমূল। সপ্তাহর পর সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু উত্তর আজও আসেনি।’ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগভাগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের মনের কথা। বুঝতে পারেননি মহুয়া। এমনটাই দাবি কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও- এর। হাত শিবিরের অভিযোগ, অ-বিজেপি ভোটকে ভাগ করছে তৃণমূল। পক্ষান্তরে বিজেপির কাজ আরও সহজ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল।
গোয়ার আসন্ন নির্বাচনে একাই লড়বে কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল। দিল্লির আম আদমি পার্টিও এবার কোমড় বেঁধেছে বালুচরে। ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ-ও একা মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তৃণমূল, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি- এই তিনদলই বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট করার শপথ গ্রহণ করেছিল একদা। ব্রিগেডের মঞ্চে অ-বিজেপি নেতা-নেত্রীদের হাত ধরাধরির ছবি ইতিহাসের আর্কাইভে। এখন নেতা-নেত্রীদের যা মনোভাব তাতে জোট দূর কি বাত।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আখেরে লাভ হবে বিজেপির। বিরোধী দলগুলো জোট না করলেই কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসীন পার্টিকে পরাস্ত করা মুশকিল। গোয়ায় কংগ্রেসের মাটি শক্ত। কিন্তু দেশের সার্বিক রাজনীতি মূল্যায়ন করলে দেখা যাবে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা আগের মতো আর নেই। তাই গোয়া হাত শিবিরের হাতের মুঠোয় আসবেই, এমনটা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বরং বিভিন্ন দলে ভোট ভাগ হয়ে গেলে সুবিধা পাবে পদ্ম শিবির।