উত্তরবঙ্গ, ৭ অক্টোবর: উত্তরবঙ্গে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। পাহাড় থেকে সমতল—প্রতিটি অঞ্চলে ধস, জল জমে যাওয়া এবং যান চলাচলের সমস্যায় মানুষ কার্যত নাজেহাল। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সেখান থেকে তিনি সরাসরি মিরিকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় ধস নামায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত, জলপথে সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বেসরকারি উদ্যোগে কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ হলেও, পাহাড়ি অঞ্চলে এখনও বহু মানুষ অসহায় অবস্থায় আটকে রয়েছেন।
ঠিক এই সময়েই শুভেন্দু অধিকারীর উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সকালেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এই রাজ্যে প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পাহাড় থেকে সমতল—কোথাও সরকার নেই। মানুষ বিপদে পড়লে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন, কিন্তু বাস্তবে কিছু করেন না। আমি এসেছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে।”
শুভেন্দু জানান, তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা এবং স্থানীয়দের পাশে দাঁড়ানো।
বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে তিনি সরাসরি মিরিকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মিরিক এবং তার আশেপাশের এলাকায় বৃষ্টির জেরে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত। পাহাড়ি রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতার এই সফর স্থানীয় মানুষের মধ্যে কিছুটা আশার আলো সঞ্চার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, মিরিকে একটি ছোট জনসভা এবং পরে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে শুভেন্দুর।