BJP: ‘মিসকল বাবা’ কে এনে বঙ্গ বিজেপিতে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা

‘মিসকল বাবা’ দেবে পরিত্রাণের উপায়! বঙ্গ বিজেপিতে গুঞ্জন চলছে বিখ্যাত এই ‘বাবা’ সুনীল দেওধর হতে পারেন রাজ্য পর্যবেক্ষক। বঙ্গ বিজেপি ‘কামিনী কাঞ্চন’ কটাক্ষ কাটিয়ে, পুরভোটে…

BJP: 'মিসকল বাবা' কে এনে বঙ্গ বিজেপিতে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা

‘মিসকল বাবা’ দেবে পরিত্রাণের উপায়! বঙ্গ বিজেপিতে গুঞ্জন চলছে বিখ্যাত এই ‘বাবা’ সুনীল দেওধর হতে পারেন রাজ্য পর্যবেক্ষক।

বঙ্গ বিজেপি ‘কামিনী কাঞ্চন’ কটাক্ষ কাটিয়ে, পুরভোটে তিন নম্বরে নেমে অক্সিজেন খুঁজতে মরিয়া। যদিও প্রবীণ নেতা তথাগত রায়ের যুক্তি, অনতিবিলম্বে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে যেতে চলেছে। বিধানসভায় ভোটে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়ে বিজেপি বিরো়ধী দল হলেও পুর নির্বাচনেই হাঁড়ির হাল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিধানসভায় শূন্য হয়ে গেলেও পুরভোট থেকে বামফ্রন্ট তথা সিপিআইএম হয়েছে দ্বিতীয় বড় পক্ষ। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অটুট।

এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপিকে বাঁচাতে ততপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায় টানা পঁচিশ বছরের সিপিআইএমের শাসনকে ভেঙে বিজেপি ক্ষমতায় আনার অন্যতম কারিগর সুনীল দেওধর নিতে পারেন বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব। তাঁকেই পর্যবেক্ষক করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অমিত মালব্যকে।

এদিকে সুনীল দেওধরকে ঘিরেও বিতর্ক কম নয়। ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পিছনে দেওধর প্রচারে বারবার দাবি করেছিলেন, ঘরে ঘরে চাকরি। একটি মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সেই নম্বরে মিসকল দিলেই বিজেপি সরকারের আমলে চাকরি হবে।

অভিযোগ, বিজেপি জোট সরকার ত্রিপুরায় কর্মসংস্থান ইস্যুতে মার খেয়েছে। আর সুনীল দেওধরের সেই নম্বরে মিসকল দিলেও চাকরি হয়নি। পরে সুনীল দেওধর যতবার ত্রিপুরায় এসেছেন, তাঁকে ‘মিসকল বাবা’ বলে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে বিজেপিরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কাছে। প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম সর্বত্র ‘মিসকল বাবা’ ভিডিও বানিয়ে প্রচার করে।

Advertisements

এহেন সুনীল দেওধর কে বঙ্গ বিজেপি তাদের পর্যবেক্ষক করতে চাওয়ায় মুরলীধর সেন লেনের মধ্যেও প্রশ্ন। তবে দলটির একাংশের দাবি, অভিনব প্রচার ঝলকে মাত করতে পারেন দেওধর। তাঁকে দায়িত্বে আনা দরকার।

‘মিলকল বাবা’ সুনীল দেওধর কে ঘিরে বিতর্কের মাঝে বঙ্গ সিপিআইএম ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতিয়ার, অমিত শাহর একটি সাক্ষাতকার। সেখানে তিনি ত্রিপুরায় মিস কলে চাকরির বিষয়ে বলছেন, সে রাজ্যের মানুষ এত বোকা জানাই ছিল না।