Sudip vs Tapas: সুদীপ-তাপস বাকযুদ্ধে তৃণমূলে ভূমিকম্প শুরু

বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়(Tapas Ray) অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়(Sudip Bandopadhyay) বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাখছেন । তাপস রায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে, তাঁকে কটাক্ষ…

short-samachar

বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়(Tapas Ray) অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়(Sudip Bandopadhyay) বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রাখছেন । তাপস রায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে, তাঁকে কটাক্ষ করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় “হাতি চলে বাজার” বলে পাল্টা আক্রমণ করে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এইবার আবারও একবার সরব হয়েছেন তাপস রায়।

   

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের পাল্টা জবাবে মুখ খুলে বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন,”ব্যক্তিগত ভাবে আমি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-ফন্দ্যোপাধ্যায়দের কথার উত্তর দেওয়ার জায়গায় নেই। আমিও ৫ বারের বিধায়ক, দশ বারের কাউন্সিলর। আমিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদধন্য।” এখানেই থেমে থাকেননি তাপস বাবু। সরাসরি সুদীপের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন তিনি অন্যদের মত কালিমালিপ্ত নন। দুর্নীতিগ্রস্ত নন। একের পর এক পাল্টা আক্রমণ করে তিনি আরো জানিয়েছেন,” আমি হেফাজতে থাকা লোক নই। আমরা দলের ডোবারম্যান, আমরা দলের গ্রে হাউন্ড, গ্রেট ডেন। সতর্ক করি, তেড়ে যাই। আমরা সাদা হাতি নই। বিজেপির কাছে গিয়ে ভজন করি না।”

শাসক দলে এই দুই বর্ষিয়ান নেতার বাকযুদ্ধ সকলের কাছেই সুস্পষ্ট। সুদীপ বনাম তাপসের দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে আসতে একে অপরকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছে মদন মিত্র ও সৌগত রায়দের। বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের গোচরে আসতেই, দুই বর্ষের নেতার বাকযুদ্ধে যাতে দলের ভাবমূর্তির উপর আঙুল না উঠে, তাই তাপস রায়ের বাড়িতে উপস্থিত হন কুণাল ঘোষ। যদিও তারপরে ঠেকানো যাচ্ছে না এই বাকযুদ্ধ।

তাপসের পাল্টা আক্রমণের পর চুপ থাকেননি, ফের সরব হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই তাপস রায়ের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেছেন,”অনেকে বলছেন আমি লুকিয়ে লুকিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। বিজেপির কোনও ছোট নেতার সঙ্গে আমার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করার প্রয়োজন নেই। আমি যখন দিল্লিতে যাই, সর্বদলীয় বৈঠকে আমার সামনে নরেন্দ্র মোদী বসেন। আমি তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করি।”

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সুদীপ জায়া নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কথায় বা ভাবভঙ্গিতে কিছু বোঝার উপায় না‌ থাকলেও তাপসের গতিবিধি দলের হাইকম্যান্ডের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ রাজনৈতিক মহলের বিশিষ্ট জনদের।