Sougata Ray: হড়পা বানের মতো লোক ঢুকছে তৃণমূলে: সৌগত

রাজ্যজুড়ে সিবিআই ও ইডি তৎপরতা বেড়েছে। এক থেকে যেমন তদন্তের তৎপরতায় একের পর এক শাসকদলের নেতারা জেলের অন্তরে যাচ্ছেন ঠিক সেই রকমই সময় যত গড়াচ্ছে,…

Sougata Ray: হড়পা বানের মতো লোক ঢুকছে তৃণমূলে: সৌগত

রাজ্যজুড়ে সিবিআই ও ইডি তৎপরতা বেড়েছে। এক থেকে যেমন তদন্তের তৎপরতায় একের পর এক শাসকদলের নেতারা জেলের অন্তরে যাচ্ছেন ঠিক সেই রকমই সময় যত গড়াচ্ছে, তৃণমূলের দলের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ বিক্ষোভের আগুন। নতুন-পুরাতন কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার মাঠে নামলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Ray)। তিনি দাবি করেছেন, “তৃণমূলে হড়পা বানের মতো লোক ঢুকছে। এটার ওপর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে।”এই সঙ্গে তার সংযোজন,যারা ২০০৯ এর আগে তৃণমূলে ছিলেন অর্থাৎ ঘাসফুল শিবিরের পুরাতন সদস্যদের গুরুত্ব দিতে হবে।  

২০০৮ সাল থেকেই বাংলায় মাথা চাড়া দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্ন যাত্রার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিল সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের আন্দোলন। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে তৃণমূল সাংসদ‌ সৌগত রায় বলেন, যে সমস্ত কর্মীরা সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদেরই প্রথম সারিতে থাকা উচিত। 

 ২০২১ সালের নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির পর অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অনেকে আবার যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারাও ফিরেছেন তৃণমূলে। দলবদলুদের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। এমনকি দলবদলুদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া মাত্রই সাংগঠনিক পদে তাঁদের প্রাধান্য দেওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। তাতেই তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। যদিও এ পরিস্থিতিতে তৃণমূল প্রেমও দলীয় সভা থেকে বারংবার একসাথে মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। তবুও একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও বিধায়কদের মধ্যে সেই ক্ষোভের আগুন এখনও অবধি নেভেনি। 

Advertisements

 দলের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এপ্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, “২০০৯ সাল থেকে থাকা কর্মীরা কিছু পাওয়ার আশায় দল করতেন না। তাঁদের মধ্যে নিষ্ঠা অনেক বেশি ছিল। পরে হড়পা বানের মতো দলে লোক ঢুকেছে, তার নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, নতুনরা এসেছেন বলে পুরনোদের পিছনের সারিতে রাখা চলবে না।”

 দল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কষ্টের সুর সৌগত রায়ের গলায়। দমদমের সাংসদের কথায়, “আমি ব্যথিত হই যখন দেখি আমাদের পার্টির কিছু লোক দুর্নীতি করছে। আমার খারাপ লাগে যাদের ছোট থেকে দেখেছি তারা যখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এই যে চাকরিতে লোক ঢোকাতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি এই পদ্ধতির মধ্যে গেলে কোথায় শেষ হবে কেউ জানে না।”