Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহ

উদিত সূর্যের আশীর্বাদে যে জাপানের রাজতন্ত্র চিরন্তন বলে দাবি করা হয় সেই গৌরব এক মুহূর্তে নেমে গেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে। অক্ষশক্তির শরিক জাপান করেছিল আত্মসমর্পণ।…

Shinzo Abe

উদিত সূর্যের আশীর্বাদে যে জাপানের রাজতন্ত্র চিরন্তন বলে দাবি করা হয় সেই গৌরব এক মুহূর্তে নেমে গেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে। অক্ষশক্তির শরিক জাপান করেছিল আত্মসমর্পণ। আর বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাপানের রাজতন্ত্র প্রতীকী ক্ষমতার শীর্ষে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই শেষ কথা। সেই সরকার গড়া ভাঙার কারিগর, টানা প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রক্ষমতাকে পকেটে পুরে রাখা মুচকি হাসির শিনজো আবের (Shinzo Abe) দেহটা পড়েছিল রাস্তার ধারে।

Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহশিনজো আবে খুন হয়ে গেলেন। তাঁকে প্রকাশ্যে খুন করা হলো। শুক্রবার পশ্চিম জাপানের নারা শহরে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেইসময়েই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়৷ একটি গুলির শব্দ পাওয়ার পরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দেহ৷

Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহদীর্ঘ সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন শিঞ্জো আবে। দুই বছর আগে শারিরীক অক্ষমতার কারণে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে আবে ছিলেন ক্ষমতা তৈরির কারিগর।

Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহ

শিনজো আবে ২০০৬-২০০৭ সালে এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ২০২০ সালের ২৮শে আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আবে ছিলেন ভোট প্রচারে। তিনি প্রচার না করলে এলডিপি তেমন জনসমর্থন পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল। শিনজো আবে হত্যাকান্ড কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? তদন্ত চলছে। ধৃত এক সন্দেহজনক যুবক সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য।

Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহ

Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহ

Advertisements

জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। তাঁর অর্থনৈতিক তত্ত্ব Abenomics (আবেনমিক্স) নামে বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতির গবেষকরা মেনে নিয়েছেন।

আবেনমিক্স (Abenomics) কী?

২০১৩ সালে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জাপান পড়েছিল অর্থনৈতিক সংকটে। শিনজো আবে তখন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাপান জাতীয় সংসদে দেশটির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জিবীত করা ও জাতীয় মূদ্রা ইয়েন মানের অবনতি ঠেকানোর জন্য কৌশল আনেন। তাঁর তৈরি অর্থনৈতিক কৌশল ইংরেজিতে অ্যাবেনমিকস (Abenomics) নামে পরিচিতি পেয়েছে। এটি তিনটি “তীর” নিয়ে তৈরি এই নীতি। এর তিনটি ধাপ। প্রথমটি হলো ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি অর্জন। দ্বিতীয়টি হলো, বাজেট উদ্বৃত্ত অর্জন। তৃতীয়টি হলো, বেসরকারি বিনিয়োগ ও কাঠামোর সংস্কার। আবেনমিক্স নীতিতে জাপান আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পায়। বিশ্বজুড়ে বন্দিত হন শিনজো আবে।

Shinzo Abe: মুচকি হেসে রাষ্ট্রক্ষমতা রাখতেন পকেটে, রাস্তায় পড়েছিল শিনজো আবের রক্তাক্ত দেহ