তিলোত্তমার জন্মদিনে নয়া কর্মসূচি, বাবা-মা’র সঙ্গে দেখা করবেন শুভেন্দু

৯ই আগস্টের সেই পৈশাচিক ঘটনার পর থেকে তিলোত্তমার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ৬ মাস আগে, রাজ্যের অন্যতম মেডিক্যাল কলেজে নাইট ডিউটিতে গিয়ে নারকীয় নির্যাতনের…

Several Programs Scheduled to Commemorate the Late RG Kar on His Birthday

short-samachar

৯ই আগস্টের সেই পৈশাচিক ঘটনার পর থেকে তিলোত্তমার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ৬ মাস আগে, রাজ্যের অন্যতম মেডিক্যাল কলেজে নাইট ডিউটিতে গিয়ে নারকীয় নির্যাতনের শিকার হন তিলোত্তমা। সেই ঘটনার পর থেকে, তাঁর পরিবার এবং প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা লড়াই চালিয়ে আসছে। আজ, তিলোত্তমার জন্মদিনে, তার বাবা-মা শুধুমাত্র স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা করবেন, কিন্তু তাঁদের সংগ্রাম থেমে নেই।

   

তিলোত্তমার মা-বাবা জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে আজ ৩২ বছর পূর্ণ করতেন। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না। তিলোত্তমার জন্মদিন এই বছর থেকে নিঃসঙ্গভাবে কাটবে। তবে তারা মনে করেন, স্মৃতি একত্রিত করে তিলোত্তমার জন্মদিন পালন করাটাই সেরা উপায়। তাই, আজ তারা পুনরায় বিচারের দাবি জানিয়ে পথে নামবেন। তাদের এই প্রতিবাদে শরিক হতে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

তিলোত্তমার বাবা-মা আজ সোদপুরে জুনিয়র চিকিৎসকদের আয়োজিত অভয়া ক্লিনিকেও যাবেন। এরপর, জুনিয়র ডাক্তাররা কালীঘাটে পুজো দেবেন এবং তারপর দুপুর ৩টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত মৌন মিছিল করবেন। তাদের এই কর্মসূচি শেষ হবে আরজি কর হাসপাতালে এক বৈঠকের মাধ্যমে।

এছাড়া, তিলোত্তমার জন্মদিনের আয়োজনে যোগ দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। তিনি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তাঁদের বাড়ির সামনে তিলোত্তমার জন্মদিন পালন করবেন।

তিলোত্তমার পরিবার গতকাল এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছে। তাঁরা সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন। ভাগবত রাজ্যে ১১ দিনের সফরে এসে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে, তৃণমূল শিবির এ বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “তাঁরা কেন মোহন ভাগবতের কাছে গিয়েছেন? তিনি তো বিজেপির পৃষ্ঠপোষক। নির্যাতিতার বাবা-মা মোহন ভাগবতের কাছে গেছেন, যা দেখিয়ে দেয় তাদের আসল উদ্দেশ্য।”

তবে তিলোত্তমার পরিবার তাদের লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তারা বিশ্বাস করেন, যতদিন না সত্যি বিচার হয়, ততদিন তারা থামবেন না। তাদের দাবি, সঞ্জয় নামক অভিযুক্ত ব্যক্তি তো জেলে গেছে, কিন্তু আসল বিচার তিলোত্তমার হয়ে ওঠেনি। তাই আজও তারা পথে নেমেছেন।

এদিন তিলোত্তমার জন্মদিনে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরা নয়, তাদের প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের অংশীদারিত্ব প্রকাশ করছেন। তিলোত্তমার জন্মদিনে তার সংগ্রাম ও অধিকার ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের নানা প্রান্তে।