Ukraine War: এবার কি পারমাণবিক যুদ্ধ? মুখ খুললেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী

ইউক্রেনে একের পর এক পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করছে রাশিয়া। বেলারুশ সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রুশ সেনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া কি পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে…

short-samachar

ইউক্রেনে একের পর এক পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করছে রাশিয়া। বেলারুশ সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রুশ সেনা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া কি পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে এবার অগ্রসর হচ্ছে? এই নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

   

বৃহস্পতিবার ল্যাভরভ বলেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন না যে ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলির সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে। পরমাণু যুদ্ধ হবে কিনা জানতে চাইলে ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিশ্বাস করতে চাই না এবং আমি বিশ্বাস করি না যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে।” তুরস্কে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনার পর ল্যাভরভ এ কথা বলেন। তিনি বলেন যে সাবেক সোভিয়েত বাল্টিক রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য রাশিয়ান আক্রমণের গুজব “পুরনো প্রতারণা বলে মনে হচ্ছে।”

গত শুক্রবার ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলা চালায়। ফলে দেখা দেয় পারমাণবিক বিপর্যয়। আক্রমণের পরপরই দাউদাউ করে জ্বলছিল পরমাণবিক কেন্দ্র। তবে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। বড় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানায় দেশের জরুরি পরিষেবা। কিয়েভ অগ্নিকাণ্ডের জন্য রাশিয়ার সামরিক গোলাবর্ষণকে দায়ী করে তারা।

তার আগে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করে রুশ সেনা। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় এই চেরনোবিল ছিল বিশ্বের অন্যতম পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র।চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট পারমাণবিক চুল্লীর সংখ্যা ছিল ৪টি। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিস্ফোরণ হয়। ভয়াবহ সেই পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর আগুন ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। পারমাণবিক বিক্রিয়া প্রায় ১ কিলোমিটার উঁচু অবধি ছড়িয়ে পড়েছিল এবং প্রচুর পারমাণবিক ধুলো পরিবেশের ব্যাপক দূষণ ঘটিয়েছিল। গবেষণায় উঠে আসে সে সময় পরিবেশে যে পরিমাণে পারমাণবিক পদার্থ নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিক্ষিপ্ত প্রায় ৫০০টি পরমাণু বোমার সমান।