গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ, দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল, সাজা ঘোষণা কাল

কর্ণাটকের একটি বিশেষ আদালত শুক্রবার ধর্ষণের এক গুরুতর মামলায় প্রাক্তন জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেবন্নাকে দোষী সাব্যস্ত করল (Prajwal Revanna convicted)। মাত্র ১৪ মাসে মামলার চার্জ গঠনের পর দ্রুত গতিতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালত রায় ঘোষণা করে। শনিবার ঘোষিত হবে সাজা।

Advertisements

ঘটনার সূচনা ও অভিযোগের খতিয়ান

মাইসুরুর কে আর নগরের এক গৃহপরিচারিকা অভিযোগ করেন, প্রজ্বল রেবন্না তাঁকে দু’বার ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনা গোপনে ভিডিও রেকর্ড করেন। মামলা নথিভুক্ত হয় কর্ণাটক সিআইডির সাইবার ক্রাইম স্টেশনে। অভিযোগ পেয়ে সিআইডির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) তদন্তে নামে এবং একাধিক ডিজিটাল ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সংগ্রহ করে।

ফরেনসিক প্রমাণে মামলার মোড় ঘোরায়

তদন্ত চলাকালীন ওই নারী একটি শাড়ি প্রমাণ হিসেবে আদালতে জমা দেন, যাতে ঘটনার পরের শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফরেনসিক রিপোর্টে তা নিশ্চিত হয় এবং মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে তা আদালতে গৃহীত হয়। এই প্রমাণই শেষ পর্যন্ত রেবন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগকে প্রামাণ্য করে তোলে।

দ্রুত বিচার, বিশাল চার্জশিট, শক্তিশালী সাক্ষ্যপ্রমাণ

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বিচারপর্ব। সাত মাসে ২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ভিডিও বিশ্লেষণ, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে রেবন্নাকে। SIT কর্তৃক দাখিল করা চার্জশিট প্রায় ২ হাজার পাতার, যাতে রয়েছে ১২৩টি আলামত।

কোন কোন ধারায় দোষী সাব্যস্ত রেবন্না

IPC ৩৭৬(২)(k) ও ৩৭৬(২)(n): ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড, যা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন হতে পারে

৩৫৪(A), ৩৫৪(B), ৩৫৪(C): সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড

Advertisements

৫০৬: সর্বোচ্চ ৬ মাস

২০১: ১ থেকে ৭ বছরের সাজা

তথ্যপ্রযুক্তি আইন ৬৬(E): সর্বাধিক ৩ বছর

আদালত চত্বরে ভেঙে পড়লেন প্রাক্তন সাংসদ

রায় ঘোষণার সময় প্রজ্বল রেবন্নাকে আদালতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আদালত কক্ষ থেকে বেরোনোর সময়ও visibly shaken ছিলেন রেবন্না। শনিবার বিচারক সাজা ঘোষণা করবেন।