কী হবে রবিবার? পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, ক্ষমতা হারানো প্রায় নিশ্চিত ইমরান খানের। তিনি সংখ্যা গরিষ্ঠতা দেখাতে পারবেন না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিরোধী জোটকে হুমকি দিলেন।
বৃহস্পতিবার পাক প্রধানত বলেছিলেন স্বাধীন বিদেশ নীতি অনুসরণ করার জন্য তাঁকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে। শুক্রবার তিনি বলেন, যদি অনাস্থা প্রস্তাব সফল না হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে।
ইসলামাবাদে নিরাপত্তার ইস্যুতে ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় দাবি করেন, বিদেশি একটি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার সরকার একটি ‘হুমকির চিঠি’ পেয়েছে। এসময় তিনি মুখ ফসকে এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি নিয়ে পাকিস্তানে শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধী জোট ইস্যুটি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করতে থাকে। ক্রমাগত আক্রমণে জর্জরিত ইমরান খান বলেন,তিনি এখন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য লড়ছেন। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
আগামী পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একের পর বৈঠক করছেন। ইমরান খান বলেছেন,তিনি শেষ বল পর্যন্ত খেলবেন। তবে জোট সরকার থেকে শরিক দলের সরে যাওয়ায় তার প্রধানমন্ত্রী থাকার আর কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ৩ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।