আমেদাবাদ: মাত্র ৩০ সেকেন্ড। তার মধ্যেই সব শেষ। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171 ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আকাশ থেকে ভেঙে পড়ে যায় বিমানটি৷ ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে প্রাণে বেঁচেছেন মাত্র একজন।
জীবিত বিশ্বাস
৪০ বছর বয়সী বিশ্বাস কুমার রমেশ, ব্রিটিশ নাগরিক, ছিলেন বিমানের ১১এ নম্বর আসনে। তাঁর আসনটিই ছিটকে গিয়ে মূল অংশ থেকে কিছুটা দূরে পড়ে, আর সেই কারণেই অলৌকিকভাবে রক্ষা পান তিনি। তাঁর শরীরে হালকা আঘাত আছে, কিন্তু তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।
রমেশ বলেন, “টেকঅফের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট শব্দ, তারপর কিছুই মনে নেই। সব যেন এক ঝড়ের মতো ঘটে গেল৷” বিমানটিতে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডীয় নাগরিক। এছাড়া ছিলেন ১২ জন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনাটি ঘটে একটি আবাসিক এলাকার ওপর, একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি৷ মৃত্যু হয় প্রায় ২০ জনের৷
উদ্ধার ব্ল্যাকবক্স One black box recovered
দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্স (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার)। অপরটি খুঁজে পেতে কাজ করছেন উদ্ধারকারী দল।
র্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে এখন মূল ভরসা বিমানের ব্ল্যাক বক্স। উদ্ধারকারীরা বিমানের দুটি রেকর্ডিং ইউনিটের মধ্যে একটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)-ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করেছেন। এই যন্ত্রটি বিমানের প্রতিটি টেকনিক্যাল তথ্য সংরক্ষণ করে, যেমন গতি, উচ্চতা, ইঞ্জিন পারফরম্যান্স, রাডার ইনপুট ইত্যাদি।
মেলেনি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার
তবে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR), যা পাইলট ও সহ-পাইলটের মধ্যে শেষ মুহূর্তের কথোপকথন ধারণ করে। ঠিক কী ঘটেছিল উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে—তা বোঝার জন্য CVR হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।
একজন বেসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরের (DGCA) কর্মকর্তা বলেন, “FDR আমাদের বলবে বিমানে প্রযুক্তিগত কী ঘটছিল, আর CVR জানাবে, মানুষজন কী অনুভব করছিল—এই দুই মিলেই ঘটনার সম্পূর্ণ চিত্র স্পষ্ট হবে।”
