রবিবার নেপালের পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ যাত্রী নিয়ে ভেঙে (Nepal Plane Crash) পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান৷ মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল ‘প্রচণ্ড’ এই বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেছিলেন। গত ১ জানুয়ারি চিনের সহায়তায় নির্মিত আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধনের সময় তিনি বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক অঞ্চলের সঙ্গে পোখারার সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
এইচটি-এর প্রতিবেদন অনুসারে, কাঠমান্ডুতে চিনা দূতাবাস একতরফাভাবে ঘোষণা করেছিল পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি “চিন-নেপাল বিআরআই সহযোগিতার একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প” হিসাবে নির্মিত৷ এই বিমানবন্দরের চালুর জন্য নেপাল সরকার এবং নেপালের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন!” কাঠমান্ডুতে চিনা দূতাবাস এমন একতরফাভাবে ঘোষণা করার পর চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়ে নেপালে বিতর্ক শুরু হয়।
নেপালি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী দাহাল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন এবং কীভাবে এই বিষয়টি এখন সামনে এসেছে, যখন তিনি তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বিআরআই-এর অধীনে প্রকল্পের নির্মাণের কথা উল্লেখ করেননি।
এ পর্যন্ত এই বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা বলেছেন, নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্স দ্বারা পরিচালিত টুইন-ইঞ্জিন এটিআর বিমানটিতে চার ক্রু সদস্য, ৫ ভারতীয় এবং ১০ বিদেশী নাগরিক সহ ৭২জন আরোহী ছিলেন।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়, যা এভারেস্ট সহ বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতমালার মধ্যে আটটি দ্বারা বেষ্টিত, কারণ আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তবে নেপালের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বলেছেন, রবিবার আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় দুর্ঘটনার জন্য আবহাওয়া দায়ী নয়।