সাতে সাত। আইএসএলের মরসুমে প্রথম ডার্বির রঙ সবুজ মেরুন। যুবভারতীর গ্যালারি জুড়ে সবুজ মেরুন সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। যদিও এদিন ম্যাচের শুরুতে গ্যালারি ভরাতে এসেছিলেন হাজার হাজার লাল-হলুদ সমর্থক। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সব রঙ বদলে দিল। হুগো বমোস ও মনবীর সিং এর গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল এফসিকে হারিয়ে উল্লাসে মাতলেন এটিকে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ফুটবলাররা। অন্যদিকে ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছু সময় আগেই নিরাশ হয়ে মাঠ ছাড়লেন বহু সংখ্যক লাল হলুদ সমর্থক।
ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কমলজিতের ভুলে ৫৬ মিনিটে করা গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। ৬৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান মনবীর সিং। ৫৬ মিনিটে গোল করেন বুমোস। দূর থেকে গোল লক্ষ্য করে নীচু শট নিয়েছিলেন তিনি। কমলজিৎ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা বাঁচালেও বল হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। নির্বিষ একটা শটে গোল পেয়েই ফুঁসে ওঠে মোহনবাগান। কয়েক মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোল। এ বার মনবীর সিং। বক্সের মধ্যে থেকে বুমোস শট নিতে গিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে তা যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো মনবীরের কাছে। তিনি গোল করতে ভুল করেননি।
সপ্তম জয়ের অন্যতম কারিগর অবশ্যই হুগো বুমোস। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে আবেদন জানালেন পরের ম্যাচগুলিতেও মাঠ ভর্তি করার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “অসাধারন অভিজ্ঞতা। ৬০ হাজার মানুষের সামনে খেললাম। শুধু ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই নয়, আইএসএলের বাকি ম্যাচগুলিতে ঘরের মাঠে এমন দর্শক দেখতে চাইব।”
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল এফসির বিরুদ্ধে বড় ম্যাচে জিতেও বেশ অন্যমনস্ক দেখালো দলের হেডস্যার জোয়ান ফেরান্দোকে। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন “আসলে আমি তো মুম্বই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছি। তাই কিছু শুনতে পাইনি।” অর্থাৎ পরের ম্যাচ আরো কঠিন লড়াই তাই এখন থেকেই সেই ম্যাচের দিকেই ফোকাস করছেন সবুজ মেরুন কোচ।
অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছুটা হতাশ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। তিনি বলেন, “ফুটবল খেলা মানে সেখানে ভুল হবেই। কেউ না কেউ কোনও দিন ভুল করবেই। আজ হয়তো সেটা গোলকিপার করেছে। তার আগে প্রথমার্ধে আমরা বিপক্ষকে শাসন করেছি। আমরাই ভাল খেলেছি। গোল করার সুযোগ পেয়েছি। গোল করলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। প্রথম গোল খেয়ে যাওয়ার পর খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পরেই বুঝেছিলাম ম্যাচ শেষ।”